কলকাতা : হাতে আর মাত্র কটা দিন। তারপরই বাংলার নববর্ষ। নববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবাসীকে আগাম শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee)। তবে সেই শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে একেবারে এক নতুন শব্দই বলে দিলেন তিনি। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) সফরের শেষ দিনে দিঘায় প্রেস ক্লাবের সূচনা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। এদিন নিউ দিঘায় অমরাবতী পার্ক লাগোয়া পূর্ব মেদিনীপুর প্রেস ক্লাবের উদ্বোধন হল তাঁর হাত ধরে। তারপরই সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে অন্য মেজাজে দেখা যায় তাঁকে। সেখান থেকেই এবার এক নতুন শব্দ বলে দিলেন তিনি। এদিন একাধিক ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের সকলকে শুভ নববৈশাখের শুভনন্দন জানাচ্ছি। আমরা কথায় ইউজ় করি অভিনন্দন। আমি আজ থেকে শুরু করলাম শুভনন্দন (Subhanandan)।” এ কথা বলেই থেমে থাকেননি তিনি। কেন এ কথা বললেন তাঁর ব্যাখ্যাও করেন। মমতা বলেন, ‘নতুন নতুন কথার আমদানিও তো করতে হবে। শুভকামনা, অভিনন্দন যদি হতে পারে, তা হলে শুভনন্দন কেন হতে পারে না? এটাতে শুভেচ্ছা এবং নন্দন দুটোই আছে। নান্দনিক বলতে পারেন।’’
বছর সাতেক আগে সত্যজিতের নামে রাস্তার নাম ‘সত্যজিৎ রায় ধরণী’ করার কথা বলেছিলেন মমতা। সম্প্রতি ধরনা মঞ্চ থেকে ‘ইটুস উটুস কুটুস’ও বলেছিলেন তিনি। এমন শব্দ তাঁকে মাঝে মধ্যেই বলতে শোনা যায়।
এ প্রসঙ্গে কী বলছেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা। প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর শব্দ সৃষ্টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “তিনি তো যা কথাই বলেন সবই উদ্ভট। লেখা যেমন উদ্ভট, তেমনই তাঁর বলা। কাজেই তিনি কী শব্দচয়ন করছেন সেটা নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক।”
অন্যদিকে শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, “বলতেই পারেন তিনি এ ধরনের শব্দ। আমি এতে কোনও খারাপ কিছু দেখি না। শব্দের তো বিভিন্নরকম অর্থ হয়েই থাকে। অর্থ বুঝে তিনি এটা করে থাকলে কোনও সমস্যা নেই। নন্দন মানে তো আনন্দ। আবার একটা অর্থ পুত্র। এখানে নন্দন বলতে স্বর্গের নন্দনকানন যেমন বোঝায়, তেমনই আনন্দ বোঝানো হয়েছে। আনন্দবোধক একটা শব্দ নন্দন হতেই পারে। একটা কিছু ভাবনা থেকে উনি বোধহয় এটা বলেছেন।”