কলকাতা : করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলতেই তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একদিকে বৃহস্পতিবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এদিনই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৈঠক বসছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে (Health Department)। কোভিড বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক বসবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশাতেও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭ এর হদিশ মিলেছে। এই অবস্থায় রাজ্যের কী করণীয়, তা নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক বসছে বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি চিন সহ একাধিক দেশে নতুন করে করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। তারপরই সতর্কবার্তা দেন বিশেষজ্ঞরা। বুধবার নতুন ভ্যারিয়েন্টের কথা প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ বেড়েছে আরও।
২০২০ থেকে পরপর করোনার তিনটি ঢেউয়ের প্রভাব পড়েছিল ভারতে। ২০২১-এর শেষের দিকেই ভারতে প্রবেশ করেছিল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ঢেউ। সেবারও নতুন বছরের প্রাক্কালে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বহু মানুষ। আর এবার ২০২৩-এর আগে আবারও বাড়ছে ভয়। গুজরাট ও ওড়িশা মিলিয়ে মোট ৪ জনের শরীরে করোনার বিএফ ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এরপরই নজরদারি নিয়ে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর ওপর জোর দেওয়ার কথা ভাবছেন দফতরের কর্তারা। কল্যাণীতে রয়েছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব জেনোমিকস। সেখানেই করোনা আক্রান্তদের নমুনা পাঠানো হয় জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য। সেই প্রক্রিয়া জারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রবেশ করেছে কি না, তা চিহ্নিত করতেই এই পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বড়দিনের ছুটি উপলক্ষ্যে আগামী কয়েকদিনে নিকো পার্ক, ইকো পার্ক সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মানুষের ভিড় হয়। তার আগে বাড়তি সতর্ক রাজ্য সরকার।
আরও জানা গিয়েছে, বুধবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই নিয়ে বৈঠকে বসেছিল। বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডা. ভি কে পল, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. এনকে অরোরা সহ অনেকেই। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতেও করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারই রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।