কলকাতা: সুপ্রিম নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে ২৫ হাজার ৫৭৩ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি। যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি বলেই এই রায় শীর্ষ আদালতের। রাজ্য সরকার কার্যত বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে এই নিয়োগ মামলায়। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই চাকরি বাতিল হওয়ার পর প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর সন্দেহ এর পিছনে কোনও বড় চক্রান্ত থাকতে পারে।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলা নিয়ে বারবারই তিনি বামেদের নিশানা করেছেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম রায় ঘোষণার পর মমতা বলেন, “যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১১৬১০ জন ক্লাস নবম-দশম শ্রেণিতে পড়াতেন। ৫৫৯৬ জন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াতেন। এগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস। অনেকে খাতাও দেখছে।” মমতার প্রশ্ন এবার ওই ক্লাসগুলিতে কে পড়াবে ? কী করে সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে?
এই প্রসঙ্গ তুলেই মুখ্যমন্ত্রী সন্দেহ প্রকাশ করেন, বাংলার পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে কোলাপ্স করার চেষ্টা চলছে না তো! বামেদের নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সিপিএম তো চিরকুটে চাকরি দিত। তার তো তদন্ত হয় না?” তাঁর দাবি, পরিকল্পনা করে বাংলাকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আদতে চক্রান্ত করেছে বামেরা।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমার মনে একটা প্রশ্ন জেগেছে। ২৫ হাজার শিক্ষক যদি পড়াতে না পারে তাহলে চিকিৎসক থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করবে কারা? শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কি? শিক্ষার মান দমিয়ে দিতে চাইছেন না তো? আমাদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষার সুযোগ না দিয়ে দমিয়ে দিচ্ছেন না তো?” এদিন বাম নেতা তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকেও নিশানা করেন মমতা।