কলকাতা : একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল। নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের একের পর এক তাবড় নেতার। গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, অনুব্রত মণ্ডল। এমন পরিস্থিতিতে আবারও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “আমি সমাজসেবা করার জন্য রাজনীতিতে এসেছি। নাহলে এমন ডার্টি পলিটিক্স দেখলে অনেকদিন আগেই রাজনীতি থেকে বিদায় নিতাম। আমি এই রাজনীতি পছন্দ করি না। ব্ল্যাকমেলিং রাজনীতি চলছে।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, বিরোধীরা ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ কর্মসূচি করছে। বিরোধীরা সরাসরি আক্রমণ করছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এমন পরিস্থিতিতে মমতার বক্তব্য, “সব রাজনীতিবিদ খারাপ নন। ০.১ শতাংশ খারাপ তো সব জায়গাতেই থাকতে পারেন।” এর সঙ্গে তৃণমূলকে না জড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, “তৃণমূলকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করবেন না। আমরা কারও খাইও না, কারও পরিও না। শুধু মানুষকে ভালবাসি বলে এত কাদা ঘাটার পরেও… আমি সারাজীবন জেনে শুনে কোনও অন্যায় করিনি। এমনকী আমি একটা মশাও মারতে ভয় পাই। ডেডবডির ছবি দেখি না। রক্ত, হানাহানি আমি দেখতে চাই না। পরিচিত কেউ মারা গেলে দূর থেকে দেখি। অনেকসময় যাইও না।”
সাম্প্রতিকালে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গে বিরোধীরা সরাসরি আক্রমণ করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু এদিন নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আবারও নিজের কথায় বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, নিজের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কথা। বললেন, “আমরা তো হিসেব দিই নির্বাচন কমিশনকে। আমি আয়কর দিই। কোনও মাইনে তো আমি নিই না। আমি ১ লাখ টাকা করে প্রতি মাসে পেনশন পাই, আমি সাত বার সাংসদ ছিলাম। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সব মিলিয়ে তিন – সাড়ে তিন লাখ টাকা হবে। ১২ বছরে এক পয়সাও নিইনি। কোনওদিন এক পয়সা চায়ের জন্যও নিইনি। অন্তত ৫-৬ কোটি সাদা টাকা তো হবে, যা আমি সরকারের থেকে পাই, কিন্তু নিইনি।”