Mamata Banerjee: দেড় বছরের শিশুকে মারধর করল পুলিশ? ভিডিয়ো তুলে ধরে সরব মমতা
Mamata Banerjee: দিল্লি একা উদাহরণ নয়। জয় হিন্দ কলোনি থেকে শুরু হওয়া 'বাঙালি বিদ্বেষের' অভিযোগ এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। একই নজির দেখা গিয়েছে হরিয়ানার গুরুগ্রামে। সেখানেও পরিয়ায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যাওয়া বাঙালিদের হাল দেখে উঠছে প্রশ্ন।

কলকাতা: আজ থেকে ভাষা আন্দোলন। আগামিকাল পদযাত্রা। আর তার আগেই ফের একবার সরব মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে তুললেন বাঙালিদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ। রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন একটি ভিডিয়োও।
কী দেখা গেল তাতে?
মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিয়োতে দেখা গেল, একটি ছোট্ট শিশুর ভিডিয়ো করছেন তার বাবা। সেই ভিডিয়োয় তিনি বলছেন, ‘পুলিশ আমার ছেলের কপাল ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার বউকেও খুব মেরেছে।’ সেই ভিডিয়োর নীচের দিকে ডান দিক বরাবর দেওয়া রয়েছে তারিখ, সময় ও ঠিকানা। যার মাধ্যমে বোঝা গিয়েছে, ভিডিয়োটি নয়াদিল্লির গীতা কলোনির।
এরপরই মুখ্য়মন্ত্রী লিখেছেন, ‘সাংঘাতিক, ভয়াবহ! দেখুন দিল্লি পুলিশ কীভাবে মালদহের চাঁচলের এক পরিযায়ী পরিবারের শিশু ও তার মাকে নিষ্ঠুরভাবে মারধর করেছে।’ এরপরেই বিজেপির বিরুদ্ধে ভাষা-সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে তাঁর সংযোজন, ‘এই দেশে বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিজেপির শুরু করা ভাষা সন্ত্রাসের হিংসা থেকে পরিত্রাণ পেল না একটা শিশুও। দেশকে এরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?‘
Atrocious!! Terrible!!
See how Delhi police brutally beat up a kid and his mother, members of a migrant family from Malda’s Chanchal.
See how even a child is not spared from the cruelty of violence in the regime of linguistic terror unleashed by BJP in the country against the… pic.twitter.com/IwAXkQwy9V
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 27, 2025
দিল্লি একা উদাহরণ নয়। জয় হিন্দ কলোনি থেকে শুরু হওয়া ‘বাঙালি বিদ্বেষের‘ অভিযোগ এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। একই নজির দেখা গিয়েছে হরিয়ানার গুরুগ্রামে। সেখানেও পরিয়ায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যাওয়া বাঙালিদের হাল দেখে উঠছে প্রশ্ন। সেখানে টিগরগাঁওতে একটি বাঙালি বস্তি থেকে রাতবিরেতে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের। দিন কতক আগেই সেখান থেকে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মালদার আঞ্জারুলকে।
তিনি ওই টিগরগাঁওয়েরই বাসিন্দা। রঙের কাজ করে পেট চালান। তার অভিযোগ, টেনেহিঁচড়ে মারতে মারতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল থানায়। কারণ কী, তিনি নাকি ‘বাংলাদেশি’। এমনকি, আধার কার্ড দেখালেও তাতে মান্যতা দেয়নি পুলিশ।

