কলকাতা: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পেয়ে ঘাসফুলের সাংসদ হন অভিনেত্রী নুসরত জাহান। এবার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সেই নুসরতের বিরুদ্ধে। টাকার অঙ্ক কয়েক কোটি! ইতিমধ্যেই সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাংসদ। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি না জেনে তিনি কিছু বলবেন না। তবে, কিছু প্রমাণ হওয়ার আগেই অভিযুক্ত হিসেবে কেন চিহ্নিত করা হবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা।
নুসরতের বিষয়ে এদিন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মমতা বলেন, “আমি এ ব্যাপারে না জেনে কিছু বলব না। কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে। কিন্তু প্রমাণ হওয়ার আগেই মিডিয়া ট্রায়াল করা হচ্ছে।” অভিযোগের সত্যতা থাকলে আইন আইনের পথে চলবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। মমতা বলেন, “নুসরতের কেস নুসরত লড়বে। আইনজীবী আছে, তারাই বলতে পারবে।”
যে সংস্থা প্রতারণা করেছিল বলে অভিযোগ, নুসরত সেই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন। সে কথা নুসরত নিজেও স্বীকার করেছেন বুধবার। মুখ্যমন্ত্রী সেই অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তিনি বলেন, “নুসরত যদি ডিরেক্টর হয়েও থাকেন…এমন তো অনেক ডিরেক্টর আছেন।” মমতার ব্যাখ্যা, সংস্থায় অনেকেই চাকরি করেন, মালিক কিছু করলে কর্মীদের কিছু করার থাকে না।
এই প্রসঙ্গেই বিজেপি সাংসদের সঙ্গে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির যোগ থাকার অভিযোগ সামনে এনেছেন মমতা। নাম না করে তিনি বলেন, “কে একজন বলছিল ওদের একজন সাংসদের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও ইডি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “যাঁরা চিটফান্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন, মালিকের সঙ্গে বিদেশে গিয়েছিলেন, সব তথ্য থাকা সত্ত্বেও তাঁদের কেন ডাকা হয় না?”