কলকাতা: জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত বরাবর একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ করতেন অনুব্রত মণ্ডল। পরে তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর পরিস্থিতি বদলায়। তবে জেল থেকে ফেরার পর বীরভূমের রাজনীতিতে ফের পুরনো ছবি ফিরবে? এই নিয়ে ছিল জল্পনা। জেল থেকে ফেরার পর কাজল শেখের সঙ্গে এক মঞ্চেও দেখা যায়নি তাঁকে। কোর কমিটিকে ছাড়াই বিজয়া সম্মিলনীও করছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। এরই মধ্যে হস্তক্ষেপ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিদিনে কোন পথে চলতে হবে, তা অনুব্রতকে বুঝিয়ে দিলেন খোদ মমতা।
সূত্রের খবর, অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর বীরভূমে তৃণমূলের যে কোর কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল, তাকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দেওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। কোর কমিটিরই এক সদস্যকে ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ফোনেই অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অনুব্রতকে বুঝিয়ে দেন, জেলায় আর একা চলা যাবে না।
অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই সময় জেলা সভাপতি পদে কেউ ছিল না। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনেও দায়িত্ব সামলেছে সেই কোর কমিটি। কিন্তু অনুব্রত জেল থেকে ফেরার পর দেখা যায়, দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে কোর কমিটি সদস্যদের ছবি। শুধু তাই নয়, কমিটির সদস্য কাজল শেখের সঙ্গে এক ফ্রেমে তথা এক মঞ্চে দেখা যায়নি অনুব্রতকে। তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে অনুব্রত যেভাবে অন্য নেতাদের ছাড়া বিজয়া সম্মিলনী করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরপরই অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলেন মমতা।
এই প্রসঙ্গে কাজল শেখ বলেন, “আমার কাছে কোনও খবর নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেত্রী। তিনি যা নির্দেশ দেবেন, সেটাই মেনে চলতে হবে।” তিনি জানান, দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন তিনি। তবে পৃথক দায়িত্ব থাকার কারণেই দেখা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, কেষ্ট মণ্ডল জেলে থাকাকালীন কাজল শেখকেও ধমক দিয়েছিলেন মমতা। তৃণমূলের সভানেত্রী সেই সময় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, অনুব্রতকে ভুলে গেলে চলবে না।