কলকাতা: গঙ্গার নীচ দিয়ে চালু হওয়া রুটে আজ শুরু হল মেট্রো পরিষেবা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার সকালে সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও দেখা গেল না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়, রাজ্য সরকারের তরফে কোনও প্রতিনিধিই এদিন ছিলেন না সেই অনুষ্ঠানে। মমতার অনুপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তবে কি সরকারি অনুষ্ঠানেও রাজনীতির রঙ দেখছেন মমতা? এমন প্রশ্নই তুলছেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা।
হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত রুটে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়েছে এদিন। দেশে প্রথমবার গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো রুট চালু করা হয়েছে। এই পরিষেবার জন্য দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা ছিল। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আমন্ত্রণ জানানোর পরই মমতা জানিয়ে দিয়েছিলেন যে কাজ আছে, তাই তিনি যেতে পারবেন না।
তবে এদিন কোনও বিশেষ কর্মসূচি ছিল না মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিদিনের মতো নির্দিষ্ট সময়ে নবান্নে গিয়েছেন তিনি। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা আছে নবান্নে। তবে কী কারণে রেলের অনুষ্ঠানে গেলেন না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি নবান্নের তরফে। এর আগে বন্দে ভারত উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে হাওড়া স্টেশনে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। এদিন কোনও প্রতিনিধিকেও পাঠানো হয়নি।
এর আগে পরপর দুবার মোদীর সঙ্গে একই অনুষ্ঠানে মমতার উপস্থিতিতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে দেখা গিয়েছে। ২০২১-এ নেতাজি জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে উঠতেই উঠেছিল জয় শ্রীরাম স্লোগান। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা যায় ২০২২ সালেও। বন্দে ভারত উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে হাওড়া স্টেশনে ফের ওঠে একই স্লোগান। রেলমন্ত্রীর অনুরোধ সত্ত্বেও সে দিন মঞ্চে ওঠেননি মমতা। পাশে একটি চেয়ার নিয়ে বসেছিলেন। ভোট আবহে বুধবারের আমন্ত্রণ এড়িয়ে যাওয়ার পিছনে অতীত অভিজ্ঞতাও কাজ করল কিনা প্রশ্ন উঠছে ওয়াকিবহাল মহলে।
অন্যদিকে, মেট্রো উদ্বোধনের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়ন দেখতে পান না, শুধুই রাজনীতি খোঁজেন।’ এ ক্ষেত্রে রাজনীতির রঙ দেখেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে এর আগে গত ১ মার্চ মোদীর সঙ্গে রাজভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ সেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঞ্চনার কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।