কলকাতা: লোকসভায় হয়েছিল চোখ ধাঁধানো ফলাফল। ২২ থেকে বেড়ে ২৯ হয়েছে তৃণমূল। এবার উপ নির্বাচনেও জয়ের হাসি আরও চওড়া হল ঘাসফুল শিবিরের। মানিকতলা থেকে বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ থেকে রায়গঞ্জ, সব আসনেই বিধানসভা উপ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ফের সবুজ আবিরের ঢাকা পড়েছে বাংলার আকাশ। তুমুল উচ্ছ্বসিত তৃণমূল নেতারা। পার্থ ভৌমিক তো বলেই দিলেন, ছাব্বিশে ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবুজ আবিরে মেতে উঠলেন তিনিও।
সাফ বললেন, “এই রায় থেকেই বোঝা যাচ্ছে ২০২৬ সালে ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সপক্ষে রায় দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সুবিধাগুলো প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছেছে। মানুষ দল বেঁধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছেন।”
একইসঙ্গে বাগদায় মমতা বালার মেয়ে মধুপর্ণার জয়ের পর বনগাঁয় ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছেন পার্থ। স্পষ্ট বলছেন, “বাগদার উপনির্বাচনের জয় থেকেই বনগাঁ লোকসভায় আমরা ঘুরে দাঁড়াব। ২০২৬ সালে বনগাঁ লোকসভার যে সাতটা সিট রয়েছে সবকটাতেই আমরা জয়ী হবে। এটা এখনই বলে দিতে পারি মানুষের এখনকার ভাব দেখে। যখন কেউ ভাবেনি একটা ২৫ বছরের মেয়েকে বিধানসভায় লড়িয়ে দেওয়া যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সাহস দেখিয়েছেন। উনি বলেন না যে আমাদের তিনটে প্রজন্ম রেডি। এখন একটা নতুন প্রজন্মে মেয়েকে আমরা বিধায়ক করলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে।” কিন্তু বিজেপি? কী বলছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা।
শমীক ভট্টাচার্য কিন্তু তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েও নিজেদের খানিক আত্মসমালোচনাও করছেন। বলছেন, “জনসমর্থন আমাদের আছে। জনভিত্তি খর্ব হয়নি। কিন্তু, সন্ত্রাসকে যেভাবে প্রতিহত করা দরকার এবং যেভাবে আজ ভোটের মেশিনারি তৃণমূল তৈরি করেছে তা আমরা বানিয়ে উঠতে পারিনি। আজকের ফলাফল তারই প্রমাণ।”