কলকাতা: “মানুষ আশাহত হয়ে পড়লে বিচারব্যবস্থার দ্বারস্থ হয়। কিন্তু, বর্তমানে কিন্তু, এখন আদালত রায় দেওয়ার আগে মিডিয়া ট্রায়াল (Media Trial) শুরু হয়ে যাচ্ছে। মিডিয়া বিচারব্যবস্থাকে গাইড করছে। এটা হতে পারে না। মিডিয়া বিচারব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।” আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমার্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফের এ ভাষাতেই তোপ ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Chief Minister Mamata Banerjee)।
মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়েই ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিকাল সায়েন্সের মঞ্চ থেকে মমতা আরও বলনে, “আমাদের সম্মানই আমাদের সব। ওটাই যদি কেউ লুঠে নেই তাহলে সব চলে যায়। এটা একবার চলে গেলে আর ফিরে আসে না।” তবে একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল মমতাকে। মমতার সাফ দাবি, গত ২ মাস ধরে বিচার ব্যবস্থার সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মমতা বলেন, “আমি জানিনা তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য এই মঞ্চ ঠিক কিনা। তবে আমি এটা বলতে পারি নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর ললিতজি দেখিয়ে দিয়েছেন বিচারব্যবস্থাকে কী করে চালাতে হয়। তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র ২ মাস। উনি অবসর নিচ্ছেন পরের মাসেই। কিন্তু তার মধ্যেই বিচারব্যস্থার প্রতি নতুন করে মানুষের আশা ফিরেয়ে এনেছেন। আমি বলছি না মানুষ বিচারব্যবস্থার উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু বর্তমানে অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হয়ে যাচ্ছে।” তবে বিচারব্যবস্থাকে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও এদিন ফের অভিযোগ করেন তিনি।
‘মিডিয়া বিচারব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না’
রীতিমতো আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মমতা বলেন, “বিচারব্যবস্থার সর্বদাই মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচানো উচিত। অন্যায়ের হাত থেকে রক্ষা করা উচিত। মানুষের কান্না শোনা উচিত। কিন্তু, এখন মানুষ দরজার আড়ালে কাঁদে। কিন্তু, এখন আদালত রায় দেওয়ার আগে মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়ে যাচ্ছে। মিডিয়া বিচারব্যবস্থাকে গাইড করছে। এটা হতে পারে না। মিডিয়া বিচারব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদের সম্মানই আমাদের সব। ওটাই যদি কেউ লুঠে নেই তাহলে সব চলে যায়। এটা একবার চলে গেলে আর ফিরে আসে না।”