বিধাননগর: বছর দশেক আগে বিয়ে। শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্ত্রী। এই নিয়ে ঝামেলা হত দম্পতির। শ্বশুর-শাশুড়িও জামাইকে লাঞ্ছনা করতেন বলে অভিযোগ। আর তারপরই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। মৃতের নাম সমীর মুখোপাধ্যায়। ঘটনাটি বিধাননগর কমিশনারেটের ইকো পার্ক থানা এলাকার হাতিয়াড়া পণ্ডিত বটতলার। মঙ্গলবার সমীরের বাড়ির লোকজন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর চালানো হয় মৃতের স্ত্রীর ‘প্রেমিকে’র বাড়িতেও।
বছর দশেক আগে পণ্ডিত বটতলা এলাকায় বিয়ে করেন সমীর। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। দম্পতির বছর আটেকের মেয়ে রয়েছে। পেশায় অটোচালক ছিলেন বছর বত্রিশের সমীর। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলা অশান্তি লেগে ছিল। অভিযোগ, সমীরের স্ত্রী এলাকায় এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এ নিয়ে অশান্তির জেরে গত শনিবার সমীর গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। জখম অবস্থায় তাঁকে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
এদিন সন্ধ্যায় তাঁর দেহ পণ্ডিতিয়া বটতলায় নিয়ে আসা হয়। সেইসময় এলাকার বাসিন্দারা মৃতদেহ আটকে সমীরের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের প্রতি বিক্ষোভ দেখায়। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ভাঙচুর করা হয় মৃতের শ্বশুরবাড়ি। ওই এলাকার এক যুবকের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। অভিযোগ, ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সমীরের স্ত্রীর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়।
ইকো পার্ক থানা ও বাগুইআটি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে। এ নিয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ জমা হয়নি এখনও। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃত যুবকের পরিবারের বক্তব্য, সমীর আত্মহত্যার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত ঘটনা বলেছিল। শ্বশুরবাড়ির জন্যই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ।