কলকাতা: বারবার আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েও ফিরতে হয়েছে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলেই রয়েছেন তিনি। তার ওপর কলকাতা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশে আরও বিপাকে পড়েছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে জেলে গিয়ে তাঁকে কয়েক দফা জেরাও করে সিবিআই। সেই মামলায় এবার স্বস্তি পেলেন মানিক। হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পোস্টিং-দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তাই আপাতত কেন্দ্রীয় সংস্থার জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে না তাঁকে।
প্রাথমিকের কয়েকজন চাকরি প্রার্থীর অভিযোগ ছিল, পোস্টিং নিয়ে বেনিয়মের শিকার হতে হয়েছিল তাঁদের। অভিযোগ, কাউন্সেলিং-এর সময় তাঁদের নিজের জেলায় শূন্যপদ না থাকার কথা বলা হলেও কয়েকদিনের ব্যবধানেই সেই জেলায় শূন্যপদে চাকরির সুযোগ পান অনেকে। এ ক্ষেত্রে কিছু প্রার্থীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যেহেতু সেই সময় মানিক ভট্টাচার্যই ছিলেন পর্ষদ সভাপতি, তাই তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মানিকের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই-কে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছে, সংশ্লিষ্ট মামলায় পার্টি ছিলেন না মানিক ভট্টাচার্য। সে কারণেই তদন্ত থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মানিকের বক্তব্য শোনা হয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে মানিকের সরাসরি যুক্ত থাকার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, পুরো বিষয়টাই মানিকের মস্তিষ্ক প্রসূত, তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত জরুরি। জেলে গিয়ে জেরা করে সেই প্রশ্নোত্তর পর্বের ভিডিয়ো পেশ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।