Bangla NewsKolkata Manik Bhattacharya is likely to be questioned again on Wednesday
Manik Bhattacharya: বাড়ির কতটা কাছে কিংবা দূরে পোস্টিং, দর আলাদা! মানিককে জেরায় মূলত চার বিষয়ে জোর CBI-এর
Manik Bhattacharya: ২৩ দিনেই রাতারাতি নিয়োগের ব্যবস্থার অভিযোগ। বদলিতেও ঘুষের কারবার! ২০২১-এর কারসাজিতে এবার ফ্যাসাদে প্রাক্তন পর্ষদকর্তা মানিক ভট্টাচার্য।
মানিককে ফের জিজ্ঞাসাবাদ
Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us
কলকাতা: প্রাথমিকে পদে পদে মানিকের কীর্তি। এবার নতুন দুর্নীতি ফাঁস। জেলায় শূন্যপদ নেই। অথচ টাকা ফেললেই তৈরি পদ। ২৩ দিনেই রাতারাতি নিয়োগের ব্যবস্থার অভিযোগ। বদলিতেও ঘুষের কারবার! ২০২১-এর কারসাজিতে এবার ফ্যাসাদে প্রাক্তন পর্ষদকর্তা মানিক ভট্টাচার্য।
KEY HIGHLIGHTS
সূত্রের খবর, মূলত চারটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এক. মানিক ভট্টাচার্য দায়িত্বে থাকাকালীন ইচ্ছা করে শূন্যপদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেনি পর্ষদ। দুই. ম্যাজিক্যাল শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, তাতে র্যাঙ্কের পিছনে থেকেও চাকরি পেয়েছেন অনেকে। তিন. টাকা বিনিময়ে বাড়ির কাছে পোস্টিং, চার. বাড়ির কতটা কাছে, তার ভিত্তিতেই নেওয়া হত আলাদা টাকা।
মানিকের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বয়ান সামনে রেখেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। সূত্রের খবর, মানিক বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব এড়াচ্ছেন। আজ তাঁর সামনে একাধিক প্রমাণ রেখে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি থাকে। তারপর শুরু হয় দ্বিতীয় পর্যায়ের জিজ্ঞাসাবাদ।
আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, সিবিআই যদি চায়, তাহলে হেফাজতে নিয়েও মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই।
প্রাথমিকের পোস্টিং দুর্নীতিতে নতুন করে একটি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। সেই এফআইআর-এর পরিপ্রেক্ষিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মানিক ভট্টাচার্যকে।
বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ তিন আধিকারিক প্রেসিডেন্সি জেলে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলছে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন মামলায় মঙ্গলবার রাতে মানিক ভট্টাচার্যকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জেরা করে সিবিআই। প্রাথমিকের ওই মামলায় এফআইআর করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার রাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করে সিবিআই-এর চার জন আধিকারিক। বুধবার ফের তাঁকে জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর।
যদিও তদন্ত নিয়ে মঙ্গলবারের শুনানিতে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিবিআই-কেও। সিবিআই ঠিক মতো তদন্ত না করলে প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি। অন্যদিকে রাতে জেলে নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কমিশন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাষায়, এটা একটা ‘ডিজাইনড কোরাপশন’। মূলত বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ-এই চারটি জেলায় দুর্নীতি হয়েছে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আগেই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এবার মানিকের বিরুদ্ধে পোস্টিংয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ধরুন কারোর বীরভূমে পোস্টিং প্রয়োজন। অথচ সংশ্লিষ্ট পদে ওই জেলায় কোনও শূন্যপদ নেই। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে সেখানে নতুন পদ তৈরি হয়ে যেত।
এই নতুন অভিযোগ মানিকের বিরুদ্ধে উঠেছে। বিষয়টি জানার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যথেষ্ট কড়া ভাষায় মানিককে তিরস্কার করেছেন।