কলকাতা: মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের অফিসের হদিস। প্রাইমারি টেট ইনস্টিটিউট নাম এই অফিসের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই অফিসেই চলত দুর্নীতি। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায়শই অফিসে আসতে দেখা যেত মানিকবাবুকে। তবে গত মাস থেকে বন্ধ রয়েছে অফিসটি। কিন্তু কেন? উঠছে প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, অফিসটি মহিষবাথানে অবস্থিত। চারতলা বহুতলের একতলায় চলত অফিসটি। এলাকাবাসী এই সংক্রান্ত খুব বেশি কিছু জানতেন না। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, অফিসটি রাত্রি ৮টা থেকে ৯টা অবধি খোলা থাকত। নিয়মিত কিছু মানুষ আসতেন। অপরদিকে, অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের এবং একাধিক ফিল্ড এজেন্টকে জেরা করে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি সব এই অফিস থেকেই হত। এমনকী এই অফিস থেকেই মানিক ভট্টাচার্য লিস্ট তৈরি করা, বিভিন্ন প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সমস্ত কিছুই চালাতেন।
জানা গিয়েছে, যে মুহূর্তে দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হয় তখন থেকে অর্থাৎ প্রায় দু-আড়াই মাস ধরে বন্ধ ছিল অফিস। তবে কেন বন্ধ করে দেওয়া হয় তা এখনও অবধি স্পষ্ট নয়। ইডি আধিকারিকরা এখনও পর্যন্ত তল্লাশি চালায়নি। তবে যে কোনও সময় মহিষবাথানের এই অফিসেও তল্লাশি চালাতে পারেন গোয়েন্দারা। কারণ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন এই অফিসে তল্লাশি চালালে উদ্ধার হতে পারে প্রচুর নথি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সোমবার রাতে মানিককে লাগাতর জেরা করে ইডি। রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর মঙ্গলবার বেলা আড়াইটে নাগাদ তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়।