Mass Resignation: ‘ইস্তফা দিতে হলে ব্যক্তিগতভাবে দিতে হয়’, সিনিয়র চিকিৎসকদের গণইস্তফা নিয়ে বলল রাজ্য
Mass Resignation: এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন, গণইস্তফা পদত্যাগ হিসেবে গ্রাহ্য নয়। তিনি জানান, ইস্তফা ব্যক্তিগতভাবে দিতে হয়। না হলে সেটি ইস্তফা হিসেবে গ্রাহ্য করা হয় না।
কলকাতা: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে সিনিয়র চিকিৎসকদের গণইস্তফা। কিন্তু, এভাবে গণইস্তফা দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এবার রাজ্য সরকার স্পষ্ট করে দিল, এভাবে ইস্তফা দেওয়া যায় না। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইস্তফা দিতে হলে ব্যক্তিগতভাবে দিতে হয়।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব জুনিয়র ডাক্তাররা। ১০ দফা দাবিতে অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার আরজি করের ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক গণইস্তফা দেন। এরপরই একের পর পর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা সেই পথে হাঁটেন। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএমের মতো হাসপাতালও সেই তালিকায় রয়েছে। পুজোর মুখে সিনিয়র চিকিৎসকদের এভাবে গণইস্তফা নিয়ে খোঁচা দেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠে, এভাবে কি গণইস্তফা দেওয়া যায়?
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তারই ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট করে দেন, গণইস্তফা পদত্যাগ হিসেবে গ্রাহ্য নয়। তিনি জানান, ইস্তফা ব্যক্তিগতভাবে দিতে হয়। না হলে সেটি ইস্তফা হিসেবে গ্রাহ্য করা হয় না। এগুলি গণস্বাক্ষরের মতোও বলে মন্তব্য করেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনেকে বলছেন, গণইস্তফা নিয়ে রাজ্যের বক্তব্য চিকিৎসকদের কার্যত জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা। তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, ইস্তফা দিতে চাইলে ব্যক্তিগতভাবে দিন। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টার এই ব্যাখ্যার পর চিকিৎসকরা ব্যক্তিগতভাবে ইস্তফা দেবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।