Bantala Fire: মধ্যরাতেও পুরোপুরি নিভল না বানতলার আগুন
Fire in Leather Complex: প্রায় আট ঘণ্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত, কিন্তু এখনও বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলের ভিতরে আগুন জ্বলছে।
কলকাতা: দীপাবলির দুপুরে বানতলায় ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড (Fire in Bantala)। কলকাতার বানতলায় লেদার কমপ্লেক্সে একটি চামড়া ও রাসায়নিকের গুদামে দুপুর তিনটে নাগাদ আগুন লাগে। লেদার কমপ্লেক্সের ছাদে ১১ জন আটকে পড়েছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ছাদে আটকে পড়া ১১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। মধ্যরাতের বিল্ডিংয়ের বেশ কিছু জায়গায় পকেট ফায়ার দেখা গিয়েছে।
এদিন দুুুপুরে প্রথমে ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল দমকলকর্মীদের। সেই কারণে দুই দফায় প্রথমে ১০ টি এবং পরে আরও একটি ইঞ্জিন আনা হয় ঘটনাস্থলে। পরবর্তী সময়ে তা আরও বাড়ানো হয়। মাঝে ২০ টি ইঞ্জিন কাজ করছিল সেখানে। রাত আটটা নাগাদ পর পর দু’টি বিস্ফোরণ হয় বিল্ডিংয়ের ভিতরে। আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসে বাইরে। বর্তমানে দমকলের ১৭ টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছে। এদিন সকাল থেকেই হাওয়ার বেগ বেশি থাকার কারণে আগুন বাগে আনতে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দমকলকর্মীদের।
বানতলা লেদার কমপ্লেক্সের এক নম্বর গেটের পাঁচ নম্বর জ়োনে ওই গুদামটিতে চামড়ার জিনিসপত্র মজুত রাখা হত বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে এই আগুন লাগল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর, বিল্ডিংয়ের নীচে বাজি ফাটানো হচ্ছিল। সম্ভবত, সেই থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে অনুমান তাঁদের। যদিও আগুন লাগার কারণ নিয়ে দমকলের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। দমকলের ১৭ টি ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করছে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এবং হাওয়ার দাপট বেশি হাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের খবর চাউর হতেই বিল্ডিংয়ের আশপাশে আতঙ্কিত মানুষের ভিড় হয়ে গিয়েছে। কীভাবে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলের কর্মীরা। এদিকে এদিন ঘটনার খবর পাওয়ামাত্র সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, “আনুমানিক ১০ জন আটকে ছিলেন এখানে। তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দমকল ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তাঁদের নামানো হয়েছে। বড় আগুন। লেদার ফ্যাক্টরি, প্রচুর কেমিক্যাল, দাহ্য পদার্থ রয়েছে। সেগুলি জ্বলছে।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কালীপুজো হচ্ছে। কিন্তু বাড়ির পুজোর শত ব্যস্ততার মধ্য়েও বানতলার ঘটনার প্রতিমুহূর্তের খোঁজখবর রেখেছেন তিনি। সেখানে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করা হয়েছে, সবাই যে নিরাপদ রয়েছেন, সেই খোঁজ নিয়েছেন তিনি।
এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ বিল্ডিংটিতে আগুন লাগে। চামড়ার সামগ্রী মজুত থাকার কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এর পাশাপাশি সকাল থেকে হাওয়ার বেগ বেশি থাকার কারণে সেই আগুন আরও বাড়তে থাকে। ফলে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকল বাহিনীকে। দুপুরে দমকলের কর্মীরা হাইড্রোলিক ল্যাডার ব্যবহার করে হোসপাইপ দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এদিকে সন্ধে হওয়ার পর দমকলকর্মীরা বিশেষ আলোর ব্যবস্থা করেন সেখানে। দমকলের তরফে বিশেষ আসকা লাইটের ব্যবস্থা করা হয়।