Kunal Ghosh: ‘আত্মপ্রচার’ থেকে ‘সস্তার রাজনীতি’, দুর্নীতির বিরুদ্ধে নমোর হুঁশিয়ারিতে পাল্টা খোঁচা তৃণমূলের
TMC vs BJP: প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে পাল্টা খোঁচা দিল তৃণমূল শিবিরও। দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে 'সস্তা রাজনৈতিক কথাবার্তা' বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
কলকাতা: এবারের দীপাবলি কার্গিলে জওয়ানদের সঙ্গে কাটাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কার্গিল সীমান্তে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে গোটা দিন কাটাচ্ছেন তিনি। সেখানে বক্তৃতা রাখার সময় দেশের সামরিক বাহিনীর প্রশংসা করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি। সেই সময়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের লড়াইয়ের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “দুর্নীতিগ্রস্তরা যতই শক্তিশালী বা ক্ষমতাবান হোক, কাউকে রেয়াত করা হবে না।” প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা খোঁচা দিল তৃণমূল শিবিরও। দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে ‘সস্তা রাজনৈতিক কথাবার্তা’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
দীপাবলির সকালে ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “দেশের ভিতরে ও বাইরের শত্রুদের সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই চালাচ্ছি আমরা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্রমাগত যুদ্ধ চালাচ্ছি আমরা। দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিরা যতই শক্তিশালী বা ক্ষমতাবান হোক না কেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না।” প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়ে এনডিএ সরকারের ভূমিকার উপর ওঠা অভিযোগের আঙুলগুলির কথা স্মরণ করিয়ে দেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “তাঁর বহু ভুল কথার মধ্যে এটি একটি। যেগুলি তিনি মুখে বলেন, কিন্তু পালন করেন না, তার মধ্যে একটি হল এটি। এই এনডিএ জমানাতেই একটি ঐতিহাসিক দুর্নীতি হয়েছিল কফিন কেলেঙ্কারি। একের পর এক অনিয়ম এই এনডিএ সরকারের আমলের বিভিন্ন রাজ্যে, বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব এর বিরুদ্ধে উঠেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ এই বিজেপির বিরুদ্ধে উঠেছে। অন্য দলে যাদের বিরুদ্ধে বিজেপি অভিযোগ তোলে, পরে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার পরিচয় দিয়ে তাঁদেরকেই আবার বিজেপি নিজেদের দলে নিয়ে নেয়।”
সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্রর আরও সংযোজন, “নরেন্দ্র মোদীর এই ধরনের কথাবার্তা আসলে সস্তা রাজনৈতিক কথাবার্তা। সত্যিকারের কিছু হওয়া উচিত। যাতে প্রত্যেকের যোগদান থাকা উচিত। বিজেপির অন্তরাত্মা বিন্দুমাত্র সেই সুরে কথা বলে না। বিপরীত সুরে চলে।” বিজেপির ‘ওয়াশিং মেশিন তত্ত্ব’ এর আগেও একাধিকবার উস্কে দিয়েছে তৃণমূল শিবির। বিশেষ করে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের বিষয়ে এই ধরনের মন্তব্য মাঝে মধ্যেই করতে শোনা যায় তৃণমূল নেতাদের মুখে। এদিন কুণাল ঘোষ আবারও সেই প্রসঙ্গ উস্কে দেন। বলেন, “বিজেপি চলে ওয়াশিং মেশিন নীতিতে। অর্থাৎ ওনারা যেমন দুর্নীতি করবেন। অন্য দলের যাদের বলবেন দুর্নীতিগ্রস্ত, তাদেরকে আবার নিজেদের দলে নিয়ে নেবেন। ওদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হচ্ছে ওয়াশিং মেশিন মডেলের লড়াই। এটা হচ্ছে বিজেপির সম্পূর্ণ দ্বিচারিতা। এনডিএ জমানাতেও কেলেঙ্কারি হয়েছে। তাদের নেতারাও কেলেঙ্কারি করেছেন। বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে অনিয়ম, কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে।”
কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “এগুলি শুধু প্রচারের জন্য নরেন্দ্র মোদী বলে থাকেন। কিন্তু বিজেপি পুরোদস্তুর দ্বিচারিতার রাজনীতিতে চলে। তারাই আবার সিবিআই এবং ইডি লাগিয়ে কখনও পশ্চিমবঙ্গে বলবেন, কখনও অসমে বলবেন, আমাদের দলে চলে এসো চলে এসো চলে এসো। যাদের ঘুষ নেওয়ার ছবি দেখাবে, তাঁদেরকেই দলে চলে আসতে বলবে।”