Tangra: আর কোনও উপায় নেই, ভেঙেই ফেলতে হবে গোটা বাড়ি, শীঘ্রই শুরু হচ্ছে কাজ
Tangra: এলাকার কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা এই বাড়িটি নিয়ো প্রোমোটারের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। ফিরহাদ হাকিম নিজেও বিল্ডিং পরিদর্শন করে এসেছিলেন।
কলকাতা: বাঘাযতীনে হেলে পড়া বাড়ি সোজা করতে গিয়েই ঘটেছিল বিপত্তি। হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছি বাড়িটি। তারপরই আতঙ্কের ছবি সামনে আসে কলকাতার একাধিক জায়গায়। একের পর এক হেলে পড়ার বাড়ির চেহারা দেখে মনে হচ্ছে, যেন গোটা শহর জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে তাসের ঘর। যে কোনও দিন ঘটে যেতে পারে বিপদ! অন্তত বাসিন্দারা তেমনটাই মনে করছেন। একই অবস্থা ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে। হেলে পড়া বিল্ডিং ঘুম উড়িয়েছে পাশের বিল্ডিং-এর বাসিন্দাদের।
ট্যাংরার সেই বাড়িটি এবার পুরোপুরি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরনিগম। মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরনিগমের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিয়েছেন। কলকাতা পুরনিগমের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে ওই বিল্ডিং। পাশের আবাসনের গায়ে এমনভাবে সেটি হেলে রয়েছে, যে মাঝে কোনও ফাঁক নেই বললেই চলে। ভেঙে পড়লে কী হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ওই আবাসনের বাসিন্দারা।
প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে হেলে পড়া বাড়িটির উপরের অংশ শুধু ভেঙে ফেলা হবে। আর এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, গোটা বহুতলই ভেঙে ফেলা হবে। সোমবার কলকাতা পুরনিগমের বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ফ্রাস্টারাল ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতিতে হেলে পড়া বাড়িটি ভাঙা হবে। তিনি আরও জানান, ওই বাড়িটি ভেঙে ফেলার পর পার্শ্ববর্তী সবুজ বাড়িটি আদৌ কতটা মজবুত রয়েছে, তা দেখা হবে। এরপরই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হবে বলে স্থির করা হয়।
এলাকার কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা দাবি করেছিলেন, তিনি বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টকে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানিয়েছিল। প্রোমোটারের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে গিয়ে গোটা পরিস্থিতি দেখে এসেছিলেন।