কলকাতা: মুখপাত্র দলের মুখ। সংবাদমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, তাঁদের বক্তব্যকেই দলের বক্তব্য হিসাবে গণ্য করা হয়। তাই তাঁদের বাকসংযমের দখলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখপাত্রদের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট। বুধবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সী ছিলেন। সূত্রের খবর, সেখানেই মুখপাত্রদের ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন দলনেত্রী। দলের ভিতরের কথা যাতে বাইরে না বলা হয়, সে বার্তাও দিয়েছেন। এমনও শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলে নতুন মুখপাত্র নিয়োগ করা হতে পারে। এদিনের বৈঠকে নাকি তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা।
শুধু মুখপাত্রই নন, দলের অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা প্রকাশ্যে নানারকম মন্তব্য করেন। যা বিড়ম্বনায় ফেলে দলকেই। হইহই পড়ে যায়। সূত্রের খবর, বুধবারের বৈঠকে উঠে এসেছে সে প্রসঙ্গও। সূত্রের দাবি, দলনেত্রী স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রকাশ্যে এভাবে মুখ খোলা বরদাস্ত করা হবে না। নেওয়া হতে পারে কঠিন ব্যবস্থা।
লোকসভা ভোটের আগে মুখপাত্রদের নতুন তালিকা তৈরি করা হতে পারে বলে এদিনের বৈঠকে মমতা ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে খবর। এমনও অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের মুখপাত্রদের একটা অংশ ‘নবীনপন্থী’। তাঁদের বক্তব্যে সে সুরও পাওয়া যায়। তাঁদের বক্তব্য ঘিরে বিভিন্ন সময় দলের অন্দরেই বিতর্ক শুরু হয়। নবীন-প্রবীণের টানাপোড়েনের আবহে এই নয়া তালিকা তৈরির ভার সুব্রত বক্সী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর বর্তেছে বলেও খবর। মমতা চান, দলে গণতন্ত্র বজায় থাক। কারও কিছু বলার থাকলে তা তাঁকে, অভিষেক কিংবা সুব্রত বক্সীর কাছে জানাতেও এদিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।