Dhakhar vs Mamata: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধানসভাতেও নিন্দাপ্রস্তাব আনতে পারে তৃণমূল

Assembly: বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বৈঠক ছিল। সূত্রের খবর, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন।

Dhakhar vs Mamata: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধানসভাতেও নিন্দাপ্রস্তাব আনতে পারে তৃণমূল
বিধানসভায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 28, 2022 | 1:51 PM

কলকাতা: রাজ্যপাল ইস্যুতে চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যসভার মতোই বিধানসভাতেও নিন্দা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করছে তারা। আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে এই নিন্দা প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এর আগেও বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব এসেছে। এবার বাংলাতেও সেই ঘটনা দেখা যেতে পারে বলেই সূত্রের দাবি।

তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধানসভায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে পারেন তাঁদের বিধায়করা। রাজ্যপালের সঙ্গে সম্প্রতি রাজ্যের সম্পর্ক অনেকটাই তিক্ত হয়েছে। সূত্রের দাবি, রাজ্যপালের ইদানিং যে গতিবিধি তা বিধানসভার কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। একইসঙ্গে বিধানসভার সঙ্গে রাজভবনের সম্পর্কের যে ঐতিহ্য, সেই গরিমাও নষ্ট করছে বলে মনে করছে সরকার পক্ষ। বিশেষ করে গত ২৫ জানুয়ারি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে তিনি যেভাবে আক্রমণ করেছেন, তাকে সংবিধান কখনওই মান্যতা দেয় না বলে মনে করছে তৃণমূল। কারণ, বিধানসভায় অধ্যক্ষই সর্বেসর্বা। সেখানে তাঁর এক্তিয়ার নিয়ে রাজ্যপাল কথা বলায় বিষয়টি অসৌজন্যের প্রকাশ বলেই মনে করা হচ্ছে।

২৫ তারিখ বিধানসভায় বিআর আম্বেদকরের মূর্তিতে মালা দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানে ছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের পাশে রেখেই রাজ্যপাল দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান মেনে চলছেন না, অধ্যক্ষ এক্তিয়ার ভুলে যাচ্ছেন। অর্থাৎ রাজ্যের শাসকদলের সমস্ত ‘খারাপ’ নিয়ে এদিন সরব হন তিনি। যা শিরোনামে উঠে আসে। একইসঙ্গে প্রশ্ন ওঠে, বিধানসভায় সরকারি কর্মসূচিতে গিয়ে এভাবে একজন রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমের সামনে ব্যক্তিগত মত কীভাবে প্রকাশ করতে পারেন।

বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বৈঠক ছিল। সূত্রের খবর, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। এরপরই বৈঠক থেকে বেরিয়ে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “রাজ্যপালের ভূমিকা ভয়ঙ্কর জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে। আমাদের প্রতি মুহূর্তে এটাই মনে হচ্ছে, ওনাকে নির্দেশ দিয়ে পাঠানোই হয়েছে রাজ্য সরকারকে বিব্রত করার জন্য। আমাদের এবার আরও বেশি যুক্তি দিয়ে লোকসভা, রাজ্যসভায় কিছু প্রস্তাব আনা যায় কি না তা নিয়ে ভেবে দেখা হবে। সেটা সুখেন্দুশেখর রায় দায়িত্ব নিয়ে করবেন।” এক্ষেত্রে রাজ্যের শাসকদল ঠিক করেছে এ রাজ্যেও আসন্ন বাজেট অধিবেশন রয়েছে বিধানসভায়, সেখানে হয়ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তারা নিন্দা প্রস্তাব আনবে।

অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, এ প্রসঙ্গে তিনি এখনই কোনও কথা বলবেন না। বিধানসভা অধিবেশন শুরু হলে যা হওয়ার তা দেখাই যাবে। অন্যদিকে বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, “রাজ্যপাল আমাদের সাংবিধানিক প্রধান। উনি কী বলেছেন সে ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না। সে বিতর্কে আমি যেতে চাই না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুদা যা নিয়ে কথা বলেছেন, আমি আর তা নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না।” যদিও শুক্রবার টুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়ে দেন, তিনি বিধানসভায় কখন আসবেন বা আসবেন না তা অধ্যক্ষ ঠিক করে দিতে পারেন না। তিনি (অধ্যক্ষ) যেন মনে না করেন তিনিই বিধানসভায় শেষ কথা।

আরও পড়ুন: School Reopening: বড় খবর! বাংলায় এখনই খুলছে না স্কুল, হাইকোর্টে সময় চাইল রাজ্য