কলকাতা: সময় যত এগচ্ছে ততই তৃণমূলের অন্দরে আরও চওড়া হচ্ছে নবীন-প্রবীণ ফাটল? দলের উচ্চ নেতৃত্ব প্রকাশ্যে সে কথা স্বীকার না করলেও মঙ্গলবার এক এক নেতা আস্তে আস্তে মুখ খুলছেন। ঠিক যেমন আজই মন্তব্য করেছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এ দিন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে ববি হাকিমও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “দলের রাশ কোথাও যাচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা।” অপরদিকে, গৌতম দেবও বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সব। তাঁর বিকল্প ভারতের রাজনীতিতে কেউ নেই। উনি সবার উপরে।” শুধু আজ নয়, গতকালও তৃণমূলের ‘প্রবীণ’ নেতা বলেছিলেন, “আমাদের শরীর যতদিন ঠিক থাকবে, ততদিন আমরা নেতৃত্ব দেব। তারপর যুবরা এগিয়ে আসবে।”
প্রসঙ্গত, গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনই কার্যত প্রকট হয়ে ওঠে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, প্রথম সারির নেতা ফিরহাদ হাকিম, কুণাল ঘোষ — একেক জনের একেক মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়। কুণাল যেমন বলেন, “তৃণমূলের কিছু তথাকথিত সিনিয়র, কয়েকজন মন্ত্রী একাধিক পদ নিয়ে বসে আছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। বিজেপি গালাগাল করার বিষয়ে আমরা ২-৪ জন। ওনারা গোল গোল কথা বলে দায় সারেন। দল থেকে সব পেয়েছেন। যারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন তাদের কেন সিনিয়ররা বলবেন না?” যদিও, গোটা বিষয়টিই স্ক্রিপ্টেড বলে তোপ দেগেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।