Metro: কেন খিদিরপুরে জমি দিতে পারল না রাজ্য? জমি জটে ফের থমকে মেট্রোর কাজ
Metro: আপাতত মেট্রো কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, খিদিরপুর স্টেশনে কোনও মেট্রো স্টেশনই তৈরি করা হবে না। মাঝেরহাটের পর সরাসরি ভিক্টোরিয়া স্টেশন, এর মাঝে... তৈরি হবে।

কলকাতা: মেট্রো স্টেশন নির্মাণ ঘিরে জটিলতা। স্টেশন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমিই মিলল না বলে জানাচ্ছে মেট্রো। এর জেরে খিদিরপুর মেট্রো স্টেশন নির্মাণ ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
খিদিরপুর থেকে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত প্রথম দফায় ও ভিক্টোরিয়া থেকে পার্কস্ট্রিট পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় নতুন ট্র্যাক লাইন বসানো হবে। সেই কারণেই তামিলনাড়ু থেকে আনা হয়েছে TBM মেশিন অর্থাৎ টানেল বোরিং মেশিন। গত মে মাসে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খিদিরপুর স্টেশনের জন্য জমি দেওয়া হবে না মেট্রোকে। তাতেই বেড়েছে জটিলতা। মেট্রো স্টেশন কোথায় হবে, তা নিয়ে দিশাহীন অবস্থা।
আপাতত মেট্রো কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, খিদিরপুর স্টেশনে কোনও মেট্রো স্টেশনই তৈরি করা হবে না। মাঝেরহাটের পর সরাসরি ভিক্টোরিয়া স্টেশন, এর মাঝে shaft অর্থাৎ জরুরিকালীন বহিরাগমনের পথ তৈরি হবে।
সূত্রের খবর, মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে নির্মীয়মান সংস্থাকে জানানো হয়েছে, খিদিরপুরের কাজ বাদ দিয়েই এগোতে হবে। জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়ে গিয়েছে। বাকি খিদিরপুর থেকে ভিক্টোরিয়া স্টেশন হয়ে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত কাজ জমি জটিলতায় আটকে ছিল। খিদিরপুর মেট্রো স্টেশনের জন্য আলিপুর বডি গার্ড লাইনে জমি দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। কিন্তু আচমকাই নবান্ন মেট্রোকে জানিয়েছে, জমি দেওয়া যাবে না। কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, খিদিরপুর জনবহুল এলাকা হওয়াতেই জমি দিতে সমস্যা। সেখানে জনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং স্কুল চার্চ সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সে কারণে সেখানে জমি দেওয়া সম্ভব নয়। মেট্রো প্রকল্পের জন্য আলিপুর বডিগার্ড লাইনের নীচে ৮৩৭ বর্গমিটার জমি প্রয়োজন। সেটা দেওয়ার ক্ষেত্রেও নানান টালবাহানা রাজ্যের। স্বাভাবিকভাবেই মেট্রো প্রকল্প এখন দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “কয়েক হাজার কোটি টাকার একটা কাজ। বাংলার মানুষের জন্য এই কাজ। খিদিরপুরে মুখ্যমন্ত্রী বলে দিলেন জমি দিতে পারবেন না, তাহলে তো বাধা পড়ল এই কাজে!” তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রেলমন্ত্রী থাকাকালীন উজাড় করে রাজ্যকে নতুন ট্রেন, লাইন সবই দিয়েছেন। জনবহুল জায়গা দিয়ে লাইন গেলে কিছু সমস্যা হয়। কোথাও জমি নিয়ে শরিকি সমস্যা হয়, সেগুলো কাটিয়েই তো এগোতে হবে। ”





