কলকাতা: দুর্গাপুজোর শিল্পী ও সহযোগীদের সম্মানিত করবে কেন্দ্র সরকার। আগামী শনিবার কলকাতার ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে প্রতিমাশিল্পী-সহ বিভিন্ন শিল্পীকে এই সম্মান প্রদান করা হবে। যাঁরা প্রতিমা গড়েন, তাঁদের পাশাপাশি সম্মানিত করা হবে সেই সব শিল্পীকে, যাঁদের ছাড়া পুজো সম্ভবই নয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি। থাকবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারও। মীনাক্ষী লেখি বলেন, “আমি সকলের কাছে আবেদন জানাব, সকলে একসঙ্গে এগিয়ে আসুন, সকলে মিলে পুজো উদযাপন করুন।” ইউনেস্কোর সম্মানকে উদযাপন করার জন্য সকলের কাছে আর্জি জানান তিনি। তাঁর কথায়, এ সম্মান দেশেরও গর্ব।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের শনিবারের অনুষ্ঠানে থাকবেন ৩০ জন শিল্পীর একটি দল। মীনাক্ষী লেখির কথায়, একইসঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় দূরে রেখে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উদযাপনে সকলের এগিয়ে আসা বলেও মত প্রকাশ করেছেন মীনাক্ষী লেখি। তাঁর কথায়, “ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজের সম্মান দিয়েছে। এটা দেশেরও গর্ব।” ২৪ সেপ্টেম্বরের বিশেষ অনুষ্ঠানে ৩০ জন শিল্পীকে সম্মান জানানো হবে। তালিকায় থাকবেন প্রতিমা শিল্পী, রাজবাড়ির সদস্যরা, প্যান্ডেল শিল্পী, ঢাকি, পুরোহিত, যাঁরা প্রতিমার সাজ তৈরি করেন সমস্ত শিল্পী।
এ বছর ১ সেপ্টেম্বর থেকেই বাংলায় দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গিয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন জোড়াসাঁকো থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের লক্ষ মানুষ পা মেলান সেই মিছিলে। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “আজ থেকেই আমাদের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল। এবারের পুজোয় নতুন আগমন। নতুন আগমনী মায়ের। আমরা ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের সকল বন্ধুকে ধন্যবাদ জানাই, যারা কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ করতে সহযোগিতা করেছেন। জয় মা দুর্গা বলে এগিয়ে চলুন। সব ধর্ম, সব বর্ণ, সব সম্প্রদায়, সবাইকে নিয়ে।” অন্যদিকে বৃহস্পতিবার মহালয়ার দিন দুই আগেই পুজোর উদ্বোধনও শুরু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন এফডি ব্লকের পুজো, টালা প্রত্যয় ও মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি।