কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC), মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবীরা। লক্ষ্য কতজন ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে তা খুঁজে বের করা। বৃহস্পতিবার ঘণ্টাখানেক সেই বৈঠক চলার পর উঠে এল প্রায় ১৩ হাজার জনের নামের তালিকা। সূত্রের খবর, ১২ হাজার ৯৬৪ জনের নামের তালিকা এদিন উঠে এসেছে। বৈঠকে উঠে আসা সবপক্ষের হাতেই নামের তালিকার প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বেআইনি নিয়োগ খুঁজতে আদালতের নির্দেশে এবার যে আরও কোমর কষে নামা হল, এদিনের বৈঠক তারই প্রমাণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে যতগুলি নিয়োগ হয়েছে, ধরা পড়লে, প্রত্যেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। সেই অযোগ্য প্রার্থীদের সরিয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে যোগ্যদের, এমনও পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
মূলত বুধবার নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানি চলাকালীনই আদালত প্রশ্ন তোলে, কতজন এমন বেআইনি পথ ধরে চাকরি পেয়েছেন? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দেন, এভাবে যাঁরা চাকরিতে ঢুকেছেন, তাঁদের বরখাস্ত করে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরি দিতে হবে। কতজনকে এভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে, তার তালিকা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আদালতের নির্দেশে এসএসসি-র আইনজীবী ও মামলাকারীর আইনজীবীরা একসঙ্গে বসে পুরো তালিকা যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সেই বৈঠকই হয় এসএসসি কার্যালয়ে। ছিলেন মামলাকারীদের আইনজীবী, এসএসসির আইনজীবী এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী। ২০১৬ সালে নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত এই তালিকা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। তার সঙ্গে তালিকা মিলিয়ে আদালতে জমা দেবে এসএসসি। ২৮ সেপ্টেম্বর আদালতে সেই রিপোর্ট জমা পড়ার কথা। সেদিন সিবিআইও রিপোর্ট জমা দেবে। এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, “বোর্ড অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয়। বোর্ড সম্পূর্ণ তালিকাটা দিয়েছে। আমাদেরও রেকমেনডেশনের লিস্ট সম্পূর্ণ থাকবে। দু’টো মিলিয়ে দেখা হবে। ওদের কাছে যেমন ১৭ জনের একটা লিস্ট ছিল। যা নিয়ে ওরা মামলা করে। তার অতিরিক্ত আরও হয়ত পেয়েছে। আমরা আমাদের রেকর্ড থেকে আরও কিছু পাব। এগুলোকে ম্যাচ করে কোর্টের কাছে আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব করব। তারপর সিবিআইও ২৮ তারিখ রিপোর্ট দেবে।”