‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে…’, ডায়লগ মামলায় ‘মহাগুরু’কে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এরপর ভার্চুয়ালি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মানিকতলা থানার পুলিশ।

'মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে...', ডায়লগ মামলায় 'মহাগুরু'কে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 16, 2021 | 11:52 AM

কলকাতা: মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chackraborty) ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদ করল মানকিতলা থানার পুলিশ। নির্বাচনী প্রচারে আপত্তিকর মন্তব্য করার জেরেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হল মাহাগুরুকে। জানা গিয়েছে, ১৫ মিনিট ধরে মিঠুন চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করেন মানিকতলা থানার পুলিশ আধিকারিকরা।

‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে…’, সিনেমার এই বিখ্যাত ডায়গল ব্যবহার করেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। রাজ্য জুড়ে হিংসা ছড়ানোর ও শান্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগে মানিকতলা থানায় অভিযোগ জমা পড়ে ‘মহাগুরু’র বিরুদ্ধে। ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩(এ), ৫০৪,৫০৫ একাধিক ধারায় এফআইএর রুজু হয়। এরপর হাইকোর্টে মামলা খারিজের আবেদন করেন মিঠুন চক্রবর্তী।

হাইকোর্টই মিঠুন চক্রবর্তীকে মামলায় সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এরপর ভার্চুয়ালি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মানিকতলা থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জানতে চেয়েছেন, এই মন্তব্য করার প্রেক্ষিত কী? আর এই মন্তব্যের আড়ালে কি কোনও উদ্দেশ্য ছিল কি না তাও জানতে চান মানিকতলা থানার তদন্তকারী আধিকারকিরা।

একুশের নির্বাচনের ঠিকে আগেই ব্রিগেডের মঞ্চে আনুষ্ঠানিক ভাবে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন পদ্ম পতাকা। সেসময় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে অসংখ্য মানুষের ভিড়। তাঁদের সিংহ ভাগ আবার মহাগুরু ভক্তও। সেখানে দর্শকদের ইচ্ছায় নিজের সিনেমার বিখ্যাল ডায়লগ বলেছিলেন মহাগুরু।

এরপর বঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলতে একাধিক রোড শো, সভা করেছেন মহাগুরু। সেখানেও ২০১৪ সালের তাঁর সিনেমার এই বিখ্যাত ডায়লগ বলেছেন মহাগুরু। কিন্তু তাতেই কাল! নির্বাচনী মঞ্চ, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে কীভাবে একজন জনপ্রতিনিধি এহেন মন্তব্য করতে পারেন, মামলা হয়ে গেল মানিকতলা থানায়। ভোটপর্ব মিটতেই ৬ মে হয় মামলা। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হল মহাগুরুকে।

আরও পড়ুন: মধ্যরাতে বৈশাখী দিলেন চমক! ‘খুশি’ শোভন নিজের সমস্ত সম্পত্তি উইল করলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে