কলকাতা: অসুস্থতা থেকে সেরে উঠে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এসেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখান থেকে বেরনোর পর অপেক্ষমান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। তিনি ভাল রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তার পর সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি করা সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মিঠুন। নারী নিগ্রহের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। পাশাপাশি দেব, মিমির রাজনীতিতে ‘অনীহা’ নিয়ে মন্তব্য না করলেও ব্যক্তিগত স্তরে তাঁদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে আরএসএস নিয়ে নিজের মত ব্যক্ত করেছেন।
সন্দেশখালিতে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাদের দ্বারা সাধারণ মহিলাদের নিগ্রহের অভিযোগের প্রসঙ্গে মিঠুন বলেছেন, “যদি মহিলাদের সঙ্গে এ রকম ব্যবহার হয়, তাহলে এর থেকে ঘৃণ্য কাজ কিছু হতে পারে না। এর থেকে বাজে কাজ আর কিছু নয়। এটা রাজনীতির বাইরের বিষয়। মা-বোনেদের সম্মানের বিষয়।” সন্দেশখালিতে যেতে গত কয়ক দিনে ধারাবাহিক ভাবে বাধা পেয়েছেন বিরোধীরা। তা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতিরও সাক্ষী রাজ্য-রাজনীতি। বিজেপির কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলেও ঢুকতে পারেনি সেখানে। বিরোধীদের ঢুকতে না দেওয়ার প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বলছেন, “বাধা না দিলে তো কোনও রাস্তা নেই। বাধা না দিলে সত্যটা আরও বড় করে বেরিয়ে আসবে। এত বড় করে সত্য বেরবে, তা সামলাতে পারবে না। তাই চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলবে।” কিন্তু প্রতিবাদের এই ‘আওয়াজ যেন বন্ধ না হয়’ সে বার্তাও দিয়েছেন ‘মহাগুরু’। শাসক প্রতিবাদকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু তা যেন না হয়, সেই বার্তাই এই কথার মাধ্যমে বুঝিয়েছেন মিঠুন।
দেবের রাজনীতিতে অনীহা, সাংসদ পদ থেকে মিমির পদত্যাগ জমা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীকে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। দেবকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব নিয়ে মিঠুন বলেছেন, “দেব মনে হয় না ওই ধরনের ছেলে। তবে এজেন্সিকেও নিজের কাজ করতে হয়।”