Upper Primary Case: ৯ বছর পর এবার কি তবে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ শুরু হতে পারে? বড় ইঙ্গিত হাইকোর্টের

Shrabanti Saha | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 16, 2024 | 3:35 PM

Upper Primary Case: ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিং সম্পন্ন হলেও সুপারিশপত্র দেওয়ার ওপর বহাল আছে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। কমিশন এবার শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ করতে চায়।

Upper Primary Case:  ৯ বছর পর এবার কি তবে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ শুরু হতে পারে? বড় ইঙ্গিত হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্ট
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে শুরু হতে পারে নিয়োগ। ইঙ্গিত কলকাতা হাইকোর্টের। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে আটকে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের বিষয়টি। মামলার গেরোয় ফেঁসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেক্ষেত্রে যাতে শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ করা যেতে পারে, সেই দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। শুক্রবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “মামলাকারীদের সমসংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে, বাকি শূন্যপদে শুরু করা যেতে পারে নিয়োগ। শুরু করা যেতে পারে সুপারিশ পত্র দেওয়ার কাজও।”

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিং সম্পন্ন হলেও সুপারিশপত্র দেওয়ার ওপর বহাল আছে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। কমিশন এবার শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ করতে চায়। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “কিছু সংখ্যক মামলাকারীর জন্য কি প্রায় ১৩ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ আটকে রাখা সম্ভব ?” বিচারপতি জানতে চান, “এই মামলায় মামলাকারীর সংখ্যা কত ?”  স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বিষয়টি জানানোর নির্দেশ দেন তিনি।

সে সময়ে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর উদ্দেশে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনার কাছে যে মামলাগুলি আছে, সেখানে যদি সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখেন তাহলে ঠিক আছে, আর আপনি যদি তার বিপক্ষে যান তাহলেই আপনাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যাবে।”

তখন মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী সুবীর স্যান্ন্যাল বলেন, “অসাংবিধানিক ভাবে কেউ চাকরি পেতে পারে না।” তখন বিচারপতি বলেন, “আপনার মূল লক্ষ্য চাকরি পাওয়া। আমরা এখুনি কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। প্রয়োজনে তাদের বিষয়টি আলাদা করে শোনা হবে।”

তখন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা কি জনস্বার্থ মামলা? না ব্যক্তিগত। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ৯৯ শতাংশ প্রার্থী পাস করেনি, তাও মামলা করেছেন।”  কতজন মামলাকারী রয়েছে, তা জানতে চায় আদালত। উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকায় সব মিলিয়ে মোট ১৩,৩৩৪ জন প্রার্থী রয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২ টোয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Next Article