Moloy Ghatak: পুজোর আগেই রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে, ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে তিন ঘণ্টার বৈঠক মলয় ঘটকের
Road repairing: টানা বৃষ্টির জেরে বেশ কিছু জায়গায় রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এমন রাস্তাগুলি, যেগুলির অবস্থা খারাপ, তার সংস্কারের কাজ ৯ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ত মন্ত্রী।
কলকাতা: পুজোর আগেই রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে। সময় সীমা বেঁধে দিল রাজ্য সরকার। সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ারদের আজ এমনই নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ত মন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। ইতিমধ্যেই অনেক রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। তবে টানা বৃষ্টির জেরে বেশ কিছু জায়গায় রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এমন রাস্তাগুলি, যেগুলির অবস্থা খারাপ, তার সংস্কারের কাজ ৯ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ত মন্ত্রী।
জরুরি ভিত্তিতে এই কাজ করতে হবে বলেও সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের জানিয়েছেন মলয় ঘটক। একইসঙ্গে বারবার কেন রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে, তা নিয়েও ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন পূর্ত মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যে রাস্তাগুলিতে এখনও জল জমে রয়েছে সেখান থেকে যত দ্রুত সম্ভব জল বের করার ব্যবস্থা করতে হবে। জল বের করার পর যদি সেখানে রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হয়, তবে তাও করতে হবে। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে আজ প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন পূর্ত মন্ত্রী মলয় ঘটক। সেই বৈঠকেই মন্ত্রী এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে পূর্ত দফতর সূত্রে খবর।
বৈঠকে ইঞ্জিনিয়ারদের তিনি কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছেন, যাবতীয় প্যাচওয়ার্কের কাজ সেরে ফেলতে হবে ৯ অক্টোবরের মধ্যে। পুজোর সময় যাতে রাস্তার সমস্যার জন্য সাধারণ নাগরিকদের কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন তিনি। রাস্তা ভেঙে যাওয়ার জন্য যে অংশগুলিতে ট্রাফিকের সমস্যা হচ্ছে, বা যানজট তৈরি হচ্ছে, সেই অংশগুলিকে আগে মেরামতি করতে হবে বলে ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দিয়েছেন মলয় ঘটক।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলযন্ত্রণায় শহর কলকাতার এলাকায় এলাকায় জমে গিয়েছিল হাঁটুর ওপর জল। ঘটছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু। রাজ্য প্রশাসন কখনও উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টিতে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধিকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে। আবার কখনও সিইএসসির উপর দোষ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শহরের রাস্তাগুলি যেভাবে জলের তলায় চলে গিয়েছিল তাতে মুখ পুড়েছে রাজ্যের।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল শহরের একাধিক এলাকা। কৃষি জমির পাশাপাশি মাছ চাষের জন্য যে সমস্ত ফিশারি রয়েছে তাও জলের তলায় চলে গিয়েছিল। শহর ও শহরতলির বহু জায়গাতেই বৃষ্টির জমা জলে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে নানা স্বাদের মাছ। এলাকার লোকজনও ছিপ-জাল নিয়ে নেমে পড়ছিলেন সেই মাছ ধরতে। এদিকে জমা জলে ঘটেছে একের পর এক দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিকের।
সম্প্রতি রাজ্যের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিকে ‘ম্যান মেড’ বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে এমনটাই জানিয়ে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : Weather Update: আজও ঝেঁপে বৃষ্টি? মহালয়ার আগের দিনও কি জলযন্ত্রণা? জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর