কলকাতা: চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার এই বৈঠক হবে। আর সেই বৈঠকে থাকছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক। কিন্তু সেই বৈঠকে কুণাল ঘোষের কী ভূমিকা? ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও কুণাল কেন সোমবারের বৈঠকে থাকছেন তা নিয়ে নিজেই যুক্তি শুনিয়ে রেখেছেন। কুণালের বক্তব্য, তিনি শুভানুধ্যায়ী হিসাবে থাকতে চান। তাঁর এই উপস্থিতি একেবারেই ব্যক্তিগত।
সোমবার দুপুরে ব্রাত্য বসুর সঙ্গে চাকরি প্রার্থীদের বৈঠকের কথা রয়েছে। এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের ৫ জনের এক প্রতিনিধি দলের বৈঠক হবে। এই বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যেই আশা আশঙ্কায় দুলছেন ১ হাজার দিন পার করে রাস্তায় বসে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। এই চাকরিপ্রার্থীরাই শনিবার মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
আর সেখানে গিয়েই কুণাল ঘোষকে শুনতে হয়েছিল ‘চোর চোর স্লোগান’। বলেছিলেন, “যদি কোনও ভুল হয়, তাহলে সেই সরকারের তরফে প্রায়শ্চিত্ত হবে।” একইসঙ্গে কুণালকে বলতে শোনা গিয়েছিল, এমন অনেকেই নিজেদের চাকরিপ্রার্থী হিসাবে দাবি করছেন যাঁরা ‘বহিরাগত।’ ন্যায্য প্রার্থীরা চাকরি পাক এ সরকারও তা চায়, কারা ন্যায্য যোগ্য তাও ছেঁকে তুলে আনার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই আবহে সোমবার বৈঠক।
চাকরিপ্রার্থীরা অবশ্য সোমবারের বৈঠক নিয়ে যে খুব প্রত্যয়ী এমন নয়। তাঁদের বলতে শোনা গিয়েছে, “সরকারের মনোভাবে সমস্যা। আমাদের নিয়োগটা দেরি হওয়ার একমাত্র কারণ সরকার, সরকারি আধিকারিক, আগের শিক্ষামন্ত্রী। সে দায় তো নিতেই হবে।” তাঁরা বলছেন, নতুন করে আলোচনার তো কিছুই নেই। একটাই উত্তরের খোঁজে সোমবার তাঁরা যাচ্ছেন, “আর কতদিন এভাবে রাস্তায় বসিয়ে রাখবেন?”