কলকাতা: ‘দিদির দূত’, ‘দিদিকে বলো’-র পর শুরু হয়ে গিয়েছে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’। ৮ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) নিজে উদ্বোধন করেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির। তারপর দু’দিনেই বিপুল সংখ্যায় ফোন আসতে শুরু করেছে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে বলোর নম্বরে। সূত্রের খবর, মাত্র ২ দিনে ফোনের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১২ হাজারের বেশি। যদিও তার মধ্যে অনেক কল ছিল টেস্টিং কল বা তথ্য জানার জন্য ফোন। কিন্তু নানাবিধ সমস্যা নিয়েও আসে একাধিক ফোন। ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত বেশিরভাগ সমস্যার সমাধানও করে ফেলেছে রাজ্য সরকার বলে সূত্রের খবর।
কয়েকদিন আগে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচির এক সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই সভাতেই এই নয়া কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন তিনি। একটি নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে তাঁর প্রতিনিধিকে সমস্যার কথা জানানো যাচ্ছে। সেই সমস্যার কথা রেকর্ড করা থাকছে। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে নেওয়া হচ্ছে ব্য়বস্থা। সম্প্রতি এই নম্বরেই কল করেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির স্ত্রী এক অপরিণত শিশুর জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু, ওই প্রি-ম্যাচিওর বাচ্চার চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন তাঁরা।
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য দৈনন্দিন প্রায় ৮০ হাজারের উপর খরচ হয়ে যাচ্ছিল। এই অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে বাচ্চাটিকে স্থানান্তর করার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু, কাজ হচ্ছিল না। তারই মাঝে চালু হয় ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি। শেষমেশ পরিবারের লোকজন ফোন করেন সেই নম্বরে। আর তাতেই কাজ হয়। বাচ্চাটিকে স্থানান্তর করা হয় এসএসকেএমে।
প্রসঙ্গত, এর আগে দিদির দূত, দিদিকে বলো-র মতো কর্মসূচি চালু হলেও সেগুলি ছিল দলীয় কর্মসূচি। কিন্তু এটি প্রশাসনিক। এখানে ব্যাক্তিগত সমস্যার পাশাপাশি প্রশাসনিক অনেক সমস্যার কথা সরাসরি ফোন করে জানানো যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে। আগে ইমেল বা চিঠি দিয়ে জানাতে হত। এবার ফোন করলেই হবে।