পূর্ব ভারতে ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণে রয়েছে শূন্যপদ! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট BOPT-র

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Sep 04, 2021 | 7:39 PM

BOPT: কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বিওপিটি পূর্ব ভারতের বিভিন্ন শিল্প ও প্রতিষ্ঠানে ক্রমবর্ধমান শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণে শূন্যপদ নিয়ে কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আর এর মূলে তারা দায়ী করেছে অতিমারি করোনা পরিস্থিতি।

পূর্ব ভারতে ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণে রয়েছে শূন্যপদ! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট BOPT-র
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: পূর্ব ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৪০ হাজারের-ও বেশি শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণে শূন্যপদ রয়েছে। জানাল বোর্ড অফ প্রাকটিক্যাল ট্রেনিং বা BOPT (পূর্বাঞ্চল)। আঞ্চলিক শিক্ষানবিশ দিবসের আগে বোর্ড অফ প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিং (বিওপিটি পূর্বাঞ্চল)-এর  তরফে এই ঘোষণা করা হল শনিবার। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বিওপিটি পূর্ব ভারতের বিভিন্ন শিল্প ও প্রতিষ্ঠানে ক্রমবর্ধমান শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণে শূন্যপদ নিয়ে কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আর এর মূলে তারা দায়ী করেছে অতিমারি করোনা পরিস্থিতি।

এদিন সল্টলেকের রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে ‘আঞ্চলিক শিক্ষানবিশ দিবস ২০২১’ উদযাপন অনুষ্ঠানে বিওপিটি পূর্বাঞ্চল শাখার ডিরেক্টর এস এম ইজাজ আহমেদ বলেন, “বর্তমান এই মহামারী পরিস্থিতিতে, চাকরি লাভের চেয়ে চাকরি হারানোর সংখ্যা বেশি। পূর্ব ভারতে শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণের জন্য এত বেশি সংখ্যক শূন্যপদ যথেষ্ট চিন্তার। এই প্রশিক্ষণ থেকে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশেরও বেশি। প্রযুক্তিগত স্নাতকদের জন্য এটি আজ নিঃসন্দেহে গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।”

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৪৭ হাজার ৫২০ নতুন স্নাতক, প্রযুক্তিবিদ এবং ডিপ্লোমাধারী শিক্ষার্থীরা পূর্ব ভারত থেকে শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণের জন্য নথিভুক্ত হয়েছিলেন। যেখানে ১৪ হাজার ১৮৯ শিক্ষার্থী শুধুমাত্র এ রাজ্য থেকেই ভর্তি হন। বিওপিটি-এর উদ্দেশ্য হল স্নাতক এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়রদের চাকরির দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা। মূলত যাঁরা সরাসরি চাকরি পেতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁদের জন্য এই উদ্যোগ।

গত পাঁচ বছরে বিওপিটি কলকাতা পূর্ব অঞ্চলের আড়াই হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পক্ষেত্রে ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি প্রযুক্তিগত স্নাতকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন কোম্পানির প্রশিক্ষণের পর নিযুক্ত হয়েছেন। তাতে একটা বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, প্রায় ৯২ শতাংশ শিক্ষানবিশ তাঁদের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছেন।  জানান ইজাজ আহমেদ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সেক্রেটারি অচিন্ত কুমার তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন জাতীয় শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ যোজনা (এনএটিএস)-র আওতায় দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীকে চাকরির সুযোগ প্রদানের জন্য বিওপিটি (ইআর) এর প্রচেষ্টার কথা। এই উদ্যোগের প্রশংসা করে কুমার আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভবিষ্যতে এই উদ্যোগকে আরো আগ্রাসীভাবে গ্রহণ করতে বিওপিটি (ইআর) কে সব ধরনের সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মন্ত্রণালয় চলতি বছরে ৩০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অন্যদিকে বিওপিটি (পূর্বাঞ্চল)-র চেয়ারম্যান প্রফেসর বীরেন্দ্র কুমার তেওয়ারি বলেন, “পূর্ব ভারতে বেকারত্ব একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা। এই অবস্থায় আমাদের মূলমন্ত্র হল যথাযথ প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনার মাধ্যমে সফল প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বিকাশের পর সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রশিক্ষণ প্রার্থীর সাফল্যের সম্ভাবনা নিশ্চিত করা। ‘আঞ্চলিক শিক্ষানবিশ দিবস’ উদযাপন এই ধরনের অনিশ্চিত সময়ে সাহায্য পেতে পারে এমন বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানো।” আরও পড়ুন: বাকি ৪ আসনে উপনির্বাচন কি পুজোর ছুটির পরে? বাড়ছে জল্পনা ও সম্ভাবনা

Next Article