Kamduni Verdict: ১৪ জন উকিল হুমকি পেয়ে কামদুনি মামলা ছাড়েন, দাবি মৌসুমি কয়ালের
Kamduni: মৌসুমির বিস্ফোরক দাবি, "প্রধান যে সাক্ষী, তাঁকে কলকাতায় ব্যাঙ্কশাল আদালতের সামনে বুকে লাথি মারা হয়। আমরা তাঁকে সেদিনই হাসপাতালে ভর্তি করি। নির্যাতিতার কাকা উনি। ছাতু বিক্রি করতেন, উনিই মূল সাক্ষী ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তির পরই তিনি মারা গেলেন। আমরা তো মনে করি খুন করা হয়েছে প্রধান সাক্ষীকে।"
কলকাতা: হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন ১৪ জন উকিলকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মৌসুমি কয়ালের। টিভিনাইন বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মৌসুমি কয়াল দাবি করেন, হাইকোর্টে বিচারব্যবস্থা চলাকালীন ১৪ জন উকিল হুমকি পেয়ে এই মামলা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। মৌসুমির কথায়, “ওনারা আমাদের বলেছেন কামদুনির মামলা লড়বেন না, কারণ ওনাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
শুক্রবার কামদুনি মামলার রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যে তিনজনকে নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দিয়েছিল, তাদের একজনকে বেকসুর খালাস করা হয়। বাকি দু’জনকে আমরণ কারাদণ্ড। আরও তিনজনেরও সাজা রদ হয়। এরপরই ফুঁসে ওঠে কামদুনি। কামদুনির প্রতিবাদী হিসাবে বারবার উঠে এসেছেন যে মৌসুমি কয়াল, এই রায় শুনে শুক্রবার কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। জানিয়ে দেন, এবার সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বিচার চাইতে।
মৌসুমি কয়াল বলেন, “উকিল যেভাবে রিপোর্ট পেশ করছিল, দীর্ঘদিন ধরে দেখেছি, জজসাহেব বকাবকি করতেন। বলতেন, কী হয়েছে এটা? সরকারি উকিল মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকতেন। কিছুই বলতেন না।” মৌসুমির অভিযোগ, ৬২ জন সাক্ষী ছিলেন এই মামলায়। সকলের সাক্ষ্য গ্রহণই করা হয়নি।
এখানেই শেষ নয়, মৌসুমির বিস্ফোরক দাবি, “প্রধান যে সাক্ষী, তাঁকে কলকাতায় ব্যাঙ্কশাল আদালতের সামনে বুকে লাথি মারা হয়। আমরা তাঁকে সেদিনই হাসপাতালে ভর্তি করি। নির্যাতিতার কাকা উনি। ছাতু বিক্রি করতেন, উনিই মূল সাক্ষী ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তির পরই তিনি মারা গেলেন। আমরা তো মনে করি খুন করা হয়েছে প্রধান সাক্ষীকে।”
মৌসুমি বলেন, প্রথম থেকেই সিবিআই চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সিআইডি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “তবু আমরা আশায় ছিলাম। কারণ, দিনের পর দিন আমরা কোর্টে গিয়েছি। একদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী সরকারি উকিলকে প্রশ্ন করেন, মেয়েটিকে তো ধর্ষণ করে পা চিরে দিয়ে বীভৎসভাবে মারা হয়েছে। তাহলে ডাক্তারের ফরেন্সিক রিপোর্ট কেন সেভাবে তৈরি হয়নি। বিচারপতি এই প্রশ্ন করায় সরকারি উকিল মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিলেন। কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি।”