কলকাতা: কিছুদিন আগেই বিজয়া পর্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়িতে গিয়েছিলেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। তারপর আজ আবার ভাইফোঁটায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে তৃণমূলের এককালের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। সেই সময় শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেখানে ছিলেন। আর নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। সাম্প্রতিক অতীতে অর্জুন সিং, পার্থ ভৌমিকরাও গিয়েছেন মুকুল রায়ের বাড়িতে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি তৃণমূলে আবার সক্রিয় হয়ে উঠছেন মুকুল বাবু? তাহলে কি আবার পুরনো মেজাজে ফিরছেন মুকুল রায়? যদিও এই বিষয়টিতে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মুকুল রায়। প্রায় পাঁচ-ছয় বছর পর ফের ভাইফোঁটায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গেলেন তিনি। গোটা বিষয়টিকে কেবলই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন তিনি। টিভি নাইন বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনই জানালেন মুকুল রায়।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে কি কোনও কথা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে? মুকুল রায়কে কি আবার সক্রিয় হওয়ার কোনও বার্তা দেওয়া হয়েছে? মুকুল রায় বলেন, “না, এই সম্বন্ধে কোনও আলোচনা হয়নি। সৌজন্য সাক্ষাৎ।” বিজয়া পরবর্তী সময়ে বার বার চর্চায় মুকুল রায়। একাধিক রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মুকুল রায়। জোর জল্পনা ছড়িয়েছে তাঁর আগামীর রাজনৈতিক গতিবিধি নিয়ে। তবে মুকুল রায়ের সাফ বক্তব্য, “এটা কোনও ঘটনা নয়। দুর্গাপুজোর পর কালীপুজো… এটি একটি পরম্পরা। আমরা সকলে একে অপরের বাড়িতে যাই, দেখা সাক্ষাৎ করি।”
আগামী দিনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি মুকুল রায় তাঁর সর্বশক্তি দিয়ে নামবেন? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “নির্বাচনে যদি নামি, তাহলে তো নিশ্চয়ই সর্বশক্তি দিয়ে নামব।” স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে যদি কথাটি কেন বলছেন তিনি? এরও উত্তর দেন তিনি। বলেন, “দল যদি আমাকে বলে এই কাজ তোমায় করতে হবে…”। পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই-সংগ্রামের কথাও উঠে আসে তাঁর কথায়। বললেন, “লড়াইয়ের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম এবং লড়াই করেই বেঁচে আছেন। এই নিয়ে তো কোনও দ্বিমত নেই।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে বার বার উঠে এসেছে মুকুল রায়ের নাম। রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য রাজনীতিতে বেশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তৃণমূলের এককালের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। আর এবার ফের একবার যাবতীয় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে যেন ফিরে আসতে শুরু করেছেন তিনি, অন্তত এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।