Mukul Roy in Assembly: ভোট নিয়ে ব্যস্ত, সময় চাই মুকুলের! চিঠি গেল বিধানসভায়
Assembly: গত ২২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত তা বিধানসভার অধ্যক্ষকেই নিতে হবে বলে বুঝিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
কলকাতা: ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত তা বিধানসভার অধ্যক্ষকেই নিতে হবে। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতোই এগোবেন তিনি। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার চিঠি এল মুকুল রায়ের তরফে। বিধানসভায় চিঠি দিয়ে মুকুল রায় জানালেন তাঁকে যেন কিছুটা সময় দেওয়া হয়। কারণ, এখন ভোটের কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত অভিযোগের পরবর্তী শুনানির দিন ২৪ ডিসেম্বর ধার্য করেছে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এদিনই মুকুল রায় ও অভিযোগকারী শুভেন্দু অধিকারীকে হাজির থাকার কথা বলে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বিধানসভার তরফে।
বিজেপির টিকিটে ভোটে জিতেও পরে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়। যদিও বিধায়ক পদ ছাড়েননি তিনি। উল্টে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানও করা হয় মুকুলকেই। এ নিয়েই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রথা ভেঙে মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসি-র চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এই অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এই ইস্যুতে রাজ্য রাজনীতি যথেষ্ট সরগরম হয়েছে। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুলের নাম ঘোষণা করার পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে নালিশ করতে যায় শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি পরিষদীয় দল। এমনকী মুকুল রায় এখনও এই পদে থাকায়, পিএসির বৈঠক থেকেও মুখ ফেরায় বিজেপি। পাশাপাশি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়।
বিধানসভার রুল বুক-এর ৩০২ ধারা অনুযায়ী, আনুপাতিক হারে পিএসি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়। এখানে সেই বিধি মানা হয়নি বলে বিজেপি’র অভিযোগ। নিয়ম অনুযায়ী, ১৪:৬ অনুপাতে কমিটির সদস্য নিবার্চন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১৩:৭ অনুপাতে করা হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, বিধায়ক মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান রাখা হবে কি হবে না সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিধানসভার স্পিকারকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু তার ঠিক দু’দিন আগে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
এরপরই গত ২২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত তা বিধানসভার অধ্যক্ষকেই নিতে হবে বলে বুঝিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অধ্যক্ষ দ্রুত যাতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন, সে কথাও বলা হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। তার আগেই অধ্যক্ষ নিজের সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশাও প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়ে মুকুল রায় জানালেন, তিনি আরও কিছুটা সময় চান। ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে সময় দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ও সকালেই ফোন করে বলল সিডিএসের সঙ্গে যাচ্ছি’, এরপরই সতপালের স্ত্রী জানতে পারেন ভেঙে পড়েছে চপার