কলকাতা: করোনার বাড়বাড়ন্তে রাজ্যের আসন্ন চার পৌরনিগমের ভোট বন্ধ করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ওই মামলাটির শুনানি রয়েছে। এর আগে আদালত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছিল কোভিড পরিস্থিতিতে তাদের ভোট করার পরিকাঠামো রয়েছে কি না। ওই চার পৌরনিগমের করোনা সংক্রমণের চিত্রটা আদালতের কাছে বৃহস্পতিবার তুলে দেওয়ার কথা রাজ্যের।
গত শুক্রবারের শুনানিতেও মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য আদালতে সওয়াল করেন, “কোন রাজনৈতিক দল বলবে না ভোট হোক। শুধু সল্টলেকেই ২৩ কন্টেন্টমেন্ট জোন। কমিশনের উচিৎ নিজে এগিয়ে এসে ভোট বন্ধ করা।”
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আরও সওয়াল করেন, “বিধাননগরেই ২৩টি কনটেইনমেন্ট জোন। এই সময় না ঠিকভাবে প্রচার করা যাচ্ছে, না ভোটাররা বাইরে আসতে পারছেন না। ভোটটা দেবেন কীভাবে? এই পরিস্থিতিতে ভোট করাটা কি একান্ত জরুরি?”
সওয়াল জবাব চলাকালীন নির্বাচন কমিশনের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়, পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। তবে তারা গাইডলাইন এনেছে। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এরপরই কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “প্রাত্যহিক জীবন থেমে থাকে না। কমিশন শুধু বলতে পারে ভোট হলে কমিশন পদক্ষেপ নেবে।”
রাজ্যের পক্ষে এজি সওয়াল করেন, “কমিশন চাইলে স্বাস্থ্য দফতর তাদের সাহায্য করবে।” সেদিনই আদালত স্পষ্ট করে দেয়, সোমবার হলফনামা জমা দিতে হবে কমিশনকে।
এদিকে, রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য ছিল, “যাঁরা ভোটার তাঁরাই ভয়ে বেরোচ্ছেন না। তাহলে ভোট কিভাবে হবে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যখন প্রার্থী প্রচার করতে পারছেন না। সেখানে কিভাবে নির্বাচন? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি, ভোট দয়া করে পিছিয়ে দেওয়া হোক।”
এই পরিস্থিতিতে আজ ফের শুনানি আদালতে। তাদের কাছে আদৌ কি পর্যাপ্ত ভোট কর্মী ও পরিকাঠামো রয়েছে, সে বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ হাইকোর্টে জানাবে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস এই ৭ জেলায়! তাপমাত্রা কি ফের কমবে?