কলকাতা : বিজেপি এবং তৃণমূল এক? একথা মনে করেন অনেক বামপন্থী, একদম নির্দিষ্ট করে বললে অনেক সিপিএম নেতা এবং কর্মী। তাঁরা ঠিক না ভুল। সেই তর্কে যাওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই। কারণ, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। তর্কে? বহুদূর যেতে হবে না। আজ এই বাংলার কথাই হবে। কথা হবে মহুয়া মৈত্রের কল্যাণে কীভাবে বিজেপি মেঘ না চাইতেই জল পেয়েছে, সেই বিষয়ে। কমলাকান্ত, রামপ্রসাদ, রামকৃষ্ণের বাংলা নতুন করে কালী মাহাত্ম্য শিখছে-বুঝছে, শুভেন্দু-সুকান্তর কাছে। শুভেন্দু অধিকারী এখন রাজ্যের বিরোধী মুখ, রাজ্য বিজেপির আলা কামান। কৃশানু-বিকাশ জুটির মতো, বোঝাপড়া সুকান্ত-শুভেন্দু জুটির। তাঁরা কথায় কথায় হিন্দু-অঙ্ক কষছেন। কালী তাঁদের নব্য হাতিয়ার। সেই হাতিয়ার অতি ব্যবহারে ভোঁতা হয়ে যাবে কি না, সময় বলবে। বোঝা যাবে ভোটের লড়াইয়ে।
আপাতত যেটা বোঝা যাচ্ছে না, সেটা হল, ঠগ বাছতে বাছতে সত্যিই গাঁ উজাড় হয়ে যাবে কি না! টেটে ৪২ হাজার ৯৪৯ জনের শূন্যপদে যতজনের নিয়োগ হয়েছে, প্রত্যেকের তথ্য যাচাই করবে সিবিআই। বুঝুন একবার, কী দিনকাল পড়ল! এরপর ওমুক সালে আমিও প্রাথমিকে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছি, একথা কি আর বুক বাজিয়ে বলা যাবে? যতই সত্ পাত্র হোন, বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে গেলে ট্যারা চোখে তাকাবে না তো কেউ? মাস্টারমশাই বা দিদিমণি নথিপত্র জেরক্স করতে গেলে গুজগুজ-ফুসফুস হবে? হলে খুব খারাপ হবে। কতজন দুর্নীতিপরায়ণ লোকের জন্য, একজন শিক্ষক মাথা হেঁট করে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, এই দুর্দিনের দায়ভার আর যাদেরই হোক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নয়।
কিন্তু, কী আর করা যাবে। আজ টেট মামলার শুনানিতে কী হল না হল, সে কথা বলতেই হবে। কারণ এই সমস্ত কথাই না বললেই নয়। কাজেই কথা হবে টেলিভিশনের পর্দায়। টিভি নাইন বাংলায়। সময়? রাত ৮.৫৭।