প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: রাজনীতির ময়দানে অ, আ, ক, খ লেখার বছর ঘুরতে আরও কয়েক মাস বাকি। আর সেই ময়দানে ইতিমধ্যে জাত চেনাতে শুরু করেছেন নওশাদ সিদ্দিকি। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বিধানসভার বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল কমিটির চেয়ারম্যান পদ প্রাপ্তি হল তাঁর। আর অচিরেই সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হিসাবে কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার রেকর্ডও গড়ে ফেললেন ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক। যদিও নিজেকে আইএসএফ বিধায়ক বলার থেকে সংযুক্ত মোর্চার বিধায়ক বলতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি।
২ জুলাই থেকে শুরু হয় সপ্তদশ বিধানসভার প্রথম বাজেট অধিবেশন। যা শেষ হল শুক্রবার। সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে দু’দিন বক্তব্য রাখার সুযোগ এসেছিল বছর ২৮-এর বিধায়কের কাছে। প্রথমে রাজ্যপালের ভাষণের উপরে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। আর দ্বিতীয়টি ছিল বাজেট আলোচনা। দু’টি ক্ষেত্রেই নওশাদের বক্তব্যের নির্ধারিত সময় ছিল পাঁচ মিনিট। দীর্ঘ পথ চলায় যে কোনও সুযোগকে কাজে লাগান সফল ব্যক্তিরা। নওশাদও স্বল্প সুযোগকে কাজে লাগলেন। বুঝিয়ে দিলেন, শুধুমাত্র ভোট ময়দানেই নয়, বিধানসভার অলিন্দেও সফল হতে চান আইএসএফ চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: মমতা বললেই তাঁর ‘নির্দেশ মেনে’ জেলে যেতে রাজি শুভেন্দু
সফলতার সরণীতে হাঁটতে মেঠো বক্তৃতাকে অস্ত্র করেননি তিনি। বরং পরিসংখ্যান আর শাণিত যুক্তিকে হাতিয়ার করলেন মুখে সারাক্ষণ হাসি লেগে থাকা এই ছিপছিপে যুবক। আর সেই হাসি মুখেই জানালেন, বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল কমিটির চেয়ারম্যান পদপ্রাপ্তি তাঁর কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। তবে দায়িত্ব পাওয়ার স্বাভাবিক ভাবে খুশি ফুরফুরা শরিফের বাসিন্দা। বললেন, “আমি যে দায়িত্ব পেয়েছি, তা পালনের জন্য যা যা করণীয় তা সব করব। রাজনীতির আঙিনায় প্রতিদিনই শিখছি। এই দায়িত্ব আমার শেখার পথে আরও সহায়ক হবে।”
‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’। আর বিধানসভার অন্দরে মতাদর্শের লড়াইয়ে তিনি একাই। ‘একলা’ চলছেন নওশাদ।
আরও পড়ুন: পিএসি-র মাথায় মুকুল, ফুঁসছে বিজেপি, বিধানসভায় আর কোনও কমিটিই চাই না শুভেন্দুদের