Nayana Banerjee: ‘আঙুল তুলে কথা বলো না’, সুদীপ-তাপস বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন নয়না
Sudip-Tapas Controversy: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস রায়ের তরজা তুঙ্গে। জবাব, পাল্টা জবাব দিতে কেউ কাউকে ছাড়ছেন না।
কলকাতা : সুদীপ-তাপস তরজায় সরগরম বাংলার রাজনীতি। একে অপরকে জবাব দিতে ছাড়ছেন না। বিতর্কে রাশ টানতে আগ্রহী নন দুজনের কেউই। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও দিনভর চলল জবাব-পাল্টা জবাব। এরই মধ্যে আসরে হাজির তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দ্য়োপাধ্যায়। সুদীপ-জায়া নয়নাও নাম না করে আক্রমণ শানালেন। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে নয়না বলেন, ‘আঙুল তুলে কথা বলো না।’
কী বললেন নয়না?
বিধায়ক তাপস রায়ের নাম না করে শুক্রবার নয়না বলেন, অনেক সময় দুর্বল লোকেরা অন্যকে বলে থাকেন, তুমি খুব খারাপ। আর তখন সেই দুর্বল ব্যক্তিকেই বাকিরা খারাপ বলেন। এরপর কথা তর্জমা তুলে নয়না বলেন, ‘একটা আঙুল যদি কারও দিকে তোলো, তাহলে দেখবে বাকি তিনটে আঙুল তোমার দিকেই আছে। তাই আঙুল তুলে কথা বলো না।’
‘অন্তত একই কেন্দ্র থেকে পরপর দুবার জিততে হবে’
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুদীপের বিরুদ্ধে যে ভাবে মুখ খুলেছেন বরানগরের বিধায়ক, তার জবাব দিতে পিছনা হননি সুদীপও। তৃণমূল সাংসদ আবারও দাবি করেছেন, তিনি অনেক অভিজ্ঞ রাজনীতিক। সংসদীয় রাজনীতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পরই তাঁর অভিজ্ঞতা। তাই যে কোনও নেতার কথায় উত্তর দেবেন না তিনি। সুদীপ বলেন, ‘উত্তর তাঁকেই দেব, যিনি অন্তত একই কেন্দ্র থেকে পরপর দুবার জিতেছেন।’ তিনি নিজে যে ৯ বার জিতেছেন, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন সুদীপ। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি পাঁচ বার সাংসদ হয়েছি, চার বার বিধায়ক।’
সংসদীয় রাজনীতিতে নিজের ওজনের কথা আগেও বলেছিলেন সুদীপ। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে বলে সংসদ চালান তিনি, তাই কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে লুকিয়ে দেখা করার প্রয়োজন নেই তাঁর। তাপস রায়, তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সৈনিক ও পুরনো বিধায়ক। তাই তিনিও সুদীপকে চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দিয়েছেন।
‘ডোবারম্যান তো কুত্তাই’
‘হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভৌকে হাজার’, সুদীপের এমন কটাক্ষের জবাবে তাপস রায় বলেছেন, ‘আমরা হচ্ছি দলের ডোবারম্যান, গ্রে হাউন্ড।’ আর এ কথা শুনে ফের সুদীপ কটাক্ষ করে বলেন, ‘ডোবারম্যান তো কুত্তাই। পিছনে ম্যান আছে বলে তো আর মানুষ হয়ে গেল না।’ দলের দুই শীর্ষ স্তরের নেতার তরজায় অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে। এই বিতর্কের রাশ যে কে টানবেন, সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।