কলকাতা: কালী নামে ব্রতী বাংলা। উৎসবের আলোর ছটায় উদ্ভাসিত কলকাতা। ৯৬ বছর পেরিয়ে ৯৭ বসে পা দিল কলকাতার ঐতিহ্যপূর্ণ পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতির পুজো। শোনা যায়, এই কালীই কলকাতার মধ্যে সবথেকে বড় কালী। উচ্চতা প্রায় ৩১ ফুট। প্রতিবারই এই পুজো দেখতে কলকাতার পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকে নামে মানুষের ঢল। এবার তার অন্যথা হল না। সন্ধ্যা থেকেই মণ্ডপের সামনে নামছে মানুষের ঢল।
স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের পাতাতেও রয়েছে এই পুজোর উল্লেখ। এখানে কালীর হাতে যে খড়্গ রয়েছে তার দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ ফুটের কাছাকাছি। হাতে যে নর মুণ্ডু ঝোলে তার তার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ ফুটের কাছাকাছি। দেবীর যে যে সোনা ও রূপোর অলঙ্কার থাকে তা প্রায় ৭৫ কিলোর কাছাকাছি। শোনা যায় স্বদেশী আন্দোলনের সময় এখানে ছিল বিপ্লবীদের আড্ডা। তাঁরাও ব্রতী হতেন বড় কালীর পুজোয়।
ইতিহাস বলছে, প্রথমবার এই পুজো শুরু হয় ১৯২৮ সালে। সূচনা করেছিলেন রঘু ডাকাতের শিষ্য বলে খ্যাত লাঠিয়াল অতুল কৃষ্ণ ঘোষ। শোনা যায় তিনিই প্রথম এখানে কালীকে আনেন। একইসঙ্গে বাঘা যতীন থেকে নেতাজির মতো বাঘা বাঘা বিপ্লবীদের এই পুজোর সঙ্গে যোগ ছিল বলেও জানা যায়। ১৯৩০ সালে তো এই পুজো কমিটির সভাপতি হন সুভাষ চন্দ্র বসু। তিনি সেই সময় কলকাতার মেয়রের পদে আসীন।