কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে দুখনা পুলিশ ভ্যান দাঁড় করানো। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের ভিতরে-বাইরে পুলিশ আনাগোনা করছে। ২০১৪ সালে যাদবপুরে ‘হোক কলরব’ আন্দোলনে পর থেকে ক্যাম্পাসে যখন-তখন পুলিশ প্রবেশ করে না। সাধারণত উপাচার্য খবর না দেওয়া পর্যন্ত পুলিশ ঢোকে না ক্যাম্পাসে। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে কেন এত পুলিশের ভিড়? তা নিয়ে বেড়েছে বিতর্ক।
এদিন আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে ওমপ্রকাশ মিশ্রকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভের ছবি দেখা যায় যাদবপুরে। কোনও ক্রমে তিনি ভিতরে প্রবেশ করতে পারলেও, তাঁর ঘরের বাইরে বসে পড়েন বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীরা। এরপরই সাদা পুলিশের পোশাক ঢোকে বলে দাবি পড়ুয়াদের। এমনকী ওমপ্রকাশের ঘরের ভিতরেও পুলিশ ঢুকতে দেখা যায়। একাধিক মহিলা পুলিশের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে সেখানে।
পড়ুয়ারা বলছেন, “আমরা পুলিশ ডাকিনি। কারা ডাকল? যারা ডেকেছে তারা কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে? তারা বোধহয় নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে।” কোন অর্ডারে পুলিশ এসেছে? প্রশ্ন পড়ুয়াদের। এখনও পর্যন্ত কোনও সদুত্তর মেলেনি।
ক্যাম্পাসে পুলিশের উপস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে সহ উপাচার্যের কাছে যান পড়ুয়ারা। সহ উপাচার্য জানিয়েছেন, কে পুলিশ ঢুকিয়েছে, তা তাঁর জানা নেই। ওমপ্রকাশ মিশ্রও বলেন, “পুলিশ কেন এল, সে সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই।”
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যখন পড়ুয়ারা অবস্থানে বসেছিলেন, সেই সময় আচমকা মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে যাদবপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। এসএফআই-এর দাবি, শাসক দল ক্যাম্পাসে আবারও বড় কিছু ঘটাতে চলেছে।