কলকাতা: শনির সন্ধেয় শহরে শুটআউট। থমথমে হয়ে যায় পার্ক স্ট্রিট এলাকা। ভারতীয় জাদুঘরের CISF ব্যারাক এলাকায় CISF জওয়ানের গুলিতে নিহত হন ASI রঞ্জিত কুমার ষড়ঙ্গী। সেই ঘটনায় শনিবার রাত্রি বেলাই ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক টিম ও সায়েন্টিফিক উইং। সেখানে রাত প্রায় আড়াইটে পর্যন্ত চলে নমুনা সংগ্রহ ও মাপজোক। ১৫ রাউন্ড গুলির মধ্যে মেলে ১৪টি গুলির চিহ্ন। যাদের মধ্যে ১৩টি ঘটনাস্থলে এবং ১টি গাড়িতে। এমটাই খবর মিলেছে ফরেনসিক সূত্রে। এ দিকে, রবিবার অভিযুক্তকে নিউ মার্কেট থানা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নিয়ে যাওয়া হয় সেন্ট্রাল লকআপে।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা?
নিউ মার্কেট থানা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত জওয়ান অক্ষয় মিশ্র জানান, বিগত দু’মাস ধরে তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল। সেই কারণে গুলি চালানোর ঘটনায় তাঁর কোনও অনুশোচনা নেই। অর্থাৎ কোথাও তাঁর মানসিক অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে সেই কারণেই এই কাজ করতে তিনি বাধ্য হয়েছেন। অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত করেছেন এদিন।
তা বলে গুলি?
সূত্রের খবর, গত বুধবার এ কে মিশ্রের বাবা মারা যাওয়ায় তিনি ছুটির আবেদন করেছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, তা নিয়েই মূল ঝামেলার সূত্রপাত। সূত্রের খবর, শুধু ছুটি নয়। অভিযুক্তের সঙ্গে সবাই ঠাট্টা ইয়ার্কি করত বলেও খবর। সেটা নিয়েও তার মনে রাগ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সবকিছু নিয়েই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে খবর। অন্যদিকে সূত্রের আরও খবর, গতকাল রাতে ঝগড়ার পর আজ সকাল থেকে চুপচাপ ছিলেন অভিযুক্ত কনস্টেবল। কিন্তু, তাই বলে একেবারে গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবেন একথা ভাবতে পারছেন না তাঁর সতীর্থরা। তবে আসলেই ঠিক কী কারণে তিনি গুলি চালিয়েছেন তা তদন্তের পরেই সম্পূর্ণভাবে জানান সম্ভব।