নয়া দিল্লি: ভোট পরবর্তী অশান্তির মামলায় রাজ্য পুলিশের ডিজিকে (West Bengal Director General of Police) তলব করা হয়েছে। এমনই দাবি সংবাদসংস্থা এনআইএ’র। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে দিল্লিতে হাজির হতে বলেছে বলে জানা গিয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। আইএসএফ কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ। মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয় তারা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই দিল্লিতে রাজ্য পুলিশের ডিজিপিকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। সূত্রের খবর, আইএসএফের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই ভাঙড়ে অত্যাচারিত তাদের কর্মীরা। ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রে আইএসএফের প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকি জয়ী হওয়ার পর তৃণমূলের কর্মীরা আইএসএফ কর্মীদের উপর অত্যাচার শুরু করে। মেরে মাথা পর্যন্ত ফাটিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে মানবাধিকার কমিশনে। সে বিষয়েই রাজ্য পুলিশের এই কর্তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Conditional Summon issued to the West Bengal DGP by the National Human Right Commission (NHRC) over a complaint where one ISF member alleged that he was beaten by the TMCP people causing head injuries after Assembly Polls Results were declared.
— ANI (@ANI) January 16, 2023
২ মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছিল। বিপুল ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসে ঘাসফুল। এদিকে ফল প্রকাশের দিন থেকেই বিরোধীদের উপর অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। দেগঙ্গায় এক আইএসএফ কর্মীকে মাঠের মধ্যে বোমা মেরে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। ভাঙড়েও বিভিন্ন জায়গায় আইএসএফ কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ তোলা হয়। বহু আইএসএফ কর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগের পাশাপাশি মারধরের অভিযোগও ওঠে।
ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। আদালত সব দেখেশুনে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দেয়। জ়োন ভাগ করে ৮৪ জন তদন্তকারী অফিসার বা আইওকে তদন্তের দায়িত্বে রাখা হয়। এরমধ্যে ইন্সপেক্টর, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারও রয়েছেন। এছাড়া ২৫ জন কর্তা রয়েছেন দলে, যাঁরা জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার।