কলকাতা: মহম্মদবাজারে বিস্ফোরক উদ্ধার মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল এনআইএ। ধৃত তৃণমূল নেতা ইসলাম চৌধুরীর ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ করল তারা। এনআইএ তদন্তকারীদের অনুমান, বেআইনি অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহের কাজে প্রভাবশালীদের সাহায্য ছিল। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু সূত্র তাদের হাতে উঠে এসেছে বলে খবর। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে ইসলাম চৌধুরীর ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয় বলেই খবর। আদালত থেকে সংগ্রহ করে সেই নমুনা পাঠানো হবে সিএফএসএলে।
এনআইএ সূত্রে খবর, ইসলাম চৌধুরীর মোবাইল ফোন থেকে বেশ কিছু অডিয়ো তদন্তকারীরা পেয়েছেন। সেইসব কথোপকথন কাদের সঙ্গে তা জানতে চান এনআইএর গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় তদন্তকারীদের স্ক্যানারে উঠে এসেছে সেহগল হোসেনের নামও। যিনি এক সময় অনুব্রত মণ্ডলের ছায়াসঙ্গী ছিলেন।
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সেহগল। আপাতত তিনি ‘গুরু’ কেষ্টর সঙ্গে তিহাড়েই আছেন। সেখানে গিয়ে এনআইএর গোয়েন্দারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে সেহগল হোসেনের যোগাযোগ ছিল কি না, তাও জানতে চান তদন্তকারীরা। এখান থেকেই প্রভাবশালী যোগের সন্দেহ আলো দেখতে পারে বলেই তদন্তকারীদের অনুমান। এখন প্রশ্ন, বেআইনিভাবে বিস্ফোরক পাচারে কি প্রভাবশালী যোগ রয়েছে?
২০২২ সালের ঘটনা। মহম্মদবাজারে তল্লাশি চালিয়ে একটি গাড়ি থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ১ হাজার ৯২৫ কেজির মতো জিলেটিন স্টিক ও আরও ২ হাজার ৩২৫টি ডিটোনেটর উদ্ধার হয়। এমন বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএর হাতে তদন্তভার যায়। তারই তদন্ত চলছে।