Diwali Firecrackers ban: দীপাবলি, ছটে কোনওরকম বাজিই ফাটানো যাবে না, সবুজ বাজিও নিষিদ্ধ করল আদালত

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 29, 2021 | 4:49 PM

Calcutta High Court: এমনকী শব্দবাজি না হলেও তা পোড়ানো যাবে না। কোনও ধরনের ফায়ার ক্র্যাকার্সই ব্যবহার করা যাবে না।

Diwali Firecrackers ban: দীপাবলি, ছটে কোনওরকম বাজিই ফাটানো যাবে না, সবুজ বাজিও নিষিদ্ধ করল আদালত
ফাইল চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করল কলকাতা হাইকোর্ট। ‘পরিবেশ বান্ধব’ সবুজ বাজিও এবার নিষিদ্ধই জানাল আদালত। কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, ছটপুজোতে কোনওরকম বাজিই ফাটানো যাবে না বলে নির্দেশ আদালতের।

শুক্রবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চে উৎসবের মরসুমে বাজি পোড়ানো নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সবুজ বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার্স কোনও রকম ক্ষতি করে না, এমন প্রমাণ মেলেনি। সবুজ বাজি পরীক্ষা সম্ভবও নয়। তাই অতিমারিকে মাথায় রেখে এবং এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের কথা ভেবে এবার পুজোয় সবরকমের বাজিই নিষিদ্ধ করা হল।

সব ধরনের বাজিতেই এবার নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এমনকী শব্দবাজি না হলেও তা পোড়ানো যাবে না। কোনও ধরনের ফায়ার ক্র্যাকার্সই ব্যবহার করা যাবে না। একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, বাজি যে ব্যবহার হচ্ছে না সেটা দেখবে রাজ্য। কালীপুজো, দীপাবলি, জগদ্ধাত্রী পুজো, ছটপুজোর পাশাপাশি ক্রিসমাস কিংবা নিউ ইয়ারেও বাজি ব্যবহার চলবে না। তবে অবশ্যই প্রদীপ জ্বালানো যাবে। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।

বাজি পোড়ানোর ফলে যে ধোঁয়া বের হয় তার ফলে অনেকেরই শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এ নিয়ে পরিবেশবিদরাও বার বার সচেতন করেছেন। বিশেষ করে কোভিডকালে এই ধোঁয়া যে প্রাণঘাতী পর্যন্ত হয়ে উঠতে পারে সে কথাও বলেছেন চিকিৎসকরা। কেউ যদি করোনা আক্রান্ত হন, তাঁর শ্বাসযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে বাজির ধোঁয়া। তাই এবারও উৎসবে যাতে কোনও বাজি না ফাটানো হয়, তার উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়।

গতবারও বলা হয়েছিল, বাজিও ফাটানো যাবে না পুজোয়। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল কোনও বাজি বিক্রিও করা যাবে না। অর্থাৎ রাজ্যজুড়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বাজি। কালীপুজো, দীপাবলির পাশপাশি ছটপুজোতেও বাজি ফাটানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। এবারও সেই পথেই হাঁটল কলকাতা হাইকোর্ট।

আদালতের বক্তব্য, এই পরিবেশ বান্ধব বাজি নিয়ে কারও কাছেই কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। গ্রিন বাজি কী, তাতে কী কী রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় সেটা কে পরীক্ষা করবে? আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য মানুষের জীবন আগে। ‘রাইট টু বিজনেস’ পরে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘কিছু মানুষের স্বার্থ হয়ত ক্ষুন্ন হবে। খুব কড়া সিদ্ধান্ত হয়তো নিতে হচ্ছে। কিন্তু তা না করলে বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কাও তৈরি হয়।’

অর্থাৎ রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পরিবেশ বান্ধব বাজি ফাটানো নিয়ে যে নোটিস জারি করেছিল রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, তাও বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির সভাপতি বাবলা রায় এদিন আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে বলেন, “এক তরফা শুনানি শুনে আজ যে ভাবে আতস বাজি নিষিদ্ধ করা হল আমি তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি এই রায়ে আমরা খুশি নই। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি।”

আরও পড়ুন: Leander Paes join Trinamool Congress: গোয়াতেও শুরু হল ‘খেলা’, তৃণমূলে যোগ দিলেন লিয়েন্ডার পেজ

Next Article