Covaxin in Kolkata : সোম থেকে কলকাতায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ়

কলকাতা: আগামী সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ় দেওয়া বন্ধ করে দিল কলকাতা পৌরনিগম। অর্থাৎ, ১ অক্টোবর থেকে কেবলমাত্র যাঁরা কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ় ইতিমধ্যেই নিয়ে নিয়েছেন, ,তাঁদেরই ,দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে। পৌরনিগমের তরফে আঝ এমনটাই জানানো হয়েছে।

কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, কোভ্যাক্সিনের ডোজ় কম আসছে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে যাঁরা প্রথম ডোজ় পেয়ে গিয়েছেন, কেবল তাঁদেরই কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ় দেবে পৌরনিগম। যেহেতু কোভ্যাক্সিনের ডোজ় কম আসছে পৌরনিগমের হাতে, তাই নতুন করে কাউকে কোভ্যাক্সিনের ডোজ় দেওয়া হবে না। পরবর্তী নির্দেশিকা না জারি হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে বলে জানা গিয়েছে পৌরনিগম সূত্রে। তবে কোভিশিল্ডের টিকাকরণ আগের মতোই চলতে থাকবে। উল্লেখ্য, এর আগেও কলকাতায় কোভ্যাক্সিনের আকাল তৈরি হয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময়ও কলকাতা পৌরনিগমে অনির্দিষ্টকালের জন্য কোভ্যাক্সিনের ডোজ় দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী কলকাতা পৌরসভার অন্তর্গত ৩৭টি টিকাকেন্দ্র থেকে কোভ্যাক্সিন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিল পৌর প্রশাসন। এমনই জানালেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ। তিনি বলেন আজ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এমনই নির্দেশ এসেছে। মূলত কোভ্যাক্সিন অপর্যাপ্ত থাকার জন্যই এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তাই প্রথম ডোজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র কোভ্য়াক্সিনের বকেয়া ৫০ হাজার দ্বিতীয় ডোজের প্রাপককে ওই ৩৭টি সেন্টার থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। তবে কোভিশিল্ড যেমন দেওয়া হচ্ছে তেমনি দেওয়া হবে। এখন কোভিশিল্ড ১০২ টি আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার এবং ৫ টি মেগা সেন্টার সেন্টার থেকে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, সন্ধ্যায় দমদম বিমান বন্দরে এসে পৌঁছেছে ৩৪ লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ়। একদিনে যা সর্বাধিক। কেন্দ্রের তরফে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া থেকে এই বিপুল সংখ্যক ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগবাজার সেন্ট্রাল সেন্টার স্টোরে এই ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হয়।

দুর্গাপুজো মিটটেই হু হু করে বাড়ছে এ রাজ্যে করোনার সংক্রমণ। বৃহস্পতিবারই ৯৯০ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে বাংলায়। মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। নমুনা পরীক্ষা বাড়তেই সংক্রমণের গ্রাফ উপরের দিকে উঠছে। এখনও সতর্ক না হলে বিপদকে যে কোনও ভাবেই টলানো যাবে না, সে ইঙ্গিতও দিচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে প্রধান হাতিয়ার টিকা।

ইতিমধ্যেই আমাদের দেশ ১০০ কোটি টিকাকরণের মাইলফলক পার করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই কর্মযজ্ঞ প্রসঙ্গে বলেছেন, “টিকাকরণের এই সাফল্যই ভারতের ক্ষমতাকে তুলে ধরে। একসঙ্গে কাজ করার যে মন্ত্র নিয়ে এ দেশ চলে, তার শক্তিকেই প্রতিফলিত করে। আমার দেশের নাগরিকদের ক্ষমতা নিয়ে আমি অবগত। আমি জানতাম যে দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা দেশবাসীদের টিকা দিতে যথাসম্ভব প্রচেষ্টা চালাবেন। দেশ ১০০ কোটি টিকাকরণের মাইলফলক পার করায়, নতুন শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। টিকাকরণের এই সাফল্যই বিশ্বের কাছে ভারতের ক্ষমতাকে তুলে ধরেছে।”

আরও পড়ুন : Pneumococcal Vaccine: রাজ্যে শিশুদের টিকাকরণে সুখবর, আজ থেকে বিনামূল্যে নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন