কলকাতা : শনিবার, রবিবারও পেরিয়ে গেলেও কোনও ইস্তফা পত্র আসেনি এসএসসি ভবনে। সোমবার, ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ছিল সময় সীমা। কিন্তু দিনের শেষে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানাল, তাদের কাছে কোনও ইস্তফাপত্র আসেনি। অর্থাৎ কেউ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি বলেই দাবি এসএসসি-র কর্তাদের। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা নিজেরা ইস্তফা দিলে ভাল, নাহলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। দেখা গেল, সেই নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কেউ ইস্তফা দেননি।
তবে, এ দিন হাইস্কুলের এক শিক্ষিকা ইস্তফা দিয়েছেন উত্তরবঙ্গে। জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষিকা সোমবার স্কুলে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান শিক্ষিকার হাতে সেই চিঠি দেন তিনি। গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বানারহাট উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি তালিকা প্রকাশ হয়। যে তালিকা নাম ছিল ওই শিক্ষিকার। তবে কমিশনের দাবি, ওই শিক্ষিকার পদত্যাগপত্র তাদের কাছে আসেনি। তাই কমিশনে কার্যত কোনও পদত্যাগপত্রই জমা পড়েনি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই আদালতে রিপোর্ট পেশ করার পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, বেআইনিভাবে যাঁদের চাকরি হয়েছে, তাঁরা যদি না পদত্যাগ করেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেছিলেন, যাঁরা নিজেরা ইস্তফা দেবেন না, তাঁরা যাতে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে না পারেন, সেই ব্যবস্থাও করা হবে। ৭ নভেম্বর সেই ডেডলাইন দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সিবিআই কার্যত বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দিয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে। ওএমআর শিট জালিয়াতি, সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার মতো অভিযোগও সামনে এসেছিল। সিবিআই উল্লেখ করেছিল, এমন ঘটনাও ঘটেছে, সাদা খাতা জমা দিয়েছে এমন প্রার্থীদের নামের পাশেও বসেছে ৫৩ নম্বর। এসএসসি-র সার্ভারে সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়।
এসএসসি গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি মিলিয়ো হাজার হাজার জালিয়াতি করা হয়েছে বলে দাবি করে সিবিআই। এরপরই বিচারপতি ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।