কলকাতা : ইডি অফিসে ঘণ্টা পাঁচেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ আধিকারীকে। তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। সোমবার তাঁকে সেই ইস্যুতেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তবে এদিন ইডি দফতরে প্রবেশ করার সময় জিজ্ঞাসাবাদের কথা অস্বীকার করেন পরেশ অধিকারী। তাঁর দাবি, কিছু নথি নেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে তাঁকে। তিনি জানান, তাঁর বাড়িতে গিয়ে ইডি যে সব নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি, সেগুলোই ফেরত নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর দাবি, চিঠিতে তাঁকে আসার কথা বলা হয়নি।
কিন্তু এদিন ইডি দফতরে প্রবেশ করার পর ৫ ঘণ্টা ধরে ভিতরেই ছিলেন তিনি। তাঁকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ইস্যুতেই একাধিক প্রশ্ন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ইডি সূত্রে খবর, মূলত অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁকে। অঙ্কিতার চাকরির পিছনে পরেশের কী ভূমিকা ছিল? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরেশের যোগ কতটা ছিল? মেধাতালিকায় পরিবর্তন করে অঙ্কিতা নাম এগিয়ে আনার ক্ষেত্রে তৎকালীন এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির কী ভূমিকা ছিল? শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী হিসেবে, তিনি নিজে বিষয়টা জানতেন কি না, এ সব বিষয়েই মূলত প্রশ্ন করা হয়েছে এদিন।
অন্যদিকে, নিয়োগে বেনিয়মের ক্ষেত্রে বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলির ভূমিকার কথা সামনে এসেছে। তার সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের যোগ থাকার অভিযোগও উঠেছে। সেই বিষয়ে পরেশের ভূমিকা কী ছিল, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
অভিযোগ উঠেছিল, মেধাতালিকায় পিছনের দিকে নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি হয়েছিল অঙ্কিতা অধিকারীর। এই অভিযোগ সামনে এনেছিলেন ববিতা সরকার নামে এক চাকরিপ্রার্থী। পরে আদালতের নির্দেশে অঙ্কিতাকে বরখাস্ত করে সেই পদে ববিতাকে নিয়োগ করা হয়েছে।