কলকাতা: কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুললেন বিজেপির (BJP) মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক। বিধাননগর (Bidhannagar) পুরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিজেপির মণ্ডল সাধারণ সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ ওঠে সোমবার রাতে। রাজারহাট নিউটাউনের বিজেপি মণ্ডল ২-এর সাধারণ সম্পাদক বিকাশ বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যায় তিনি তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে কাউন্সিলরের অফিসে একটি ঘটনার মীমাংসার জন্য যান। সেখানেই তাঁকে মারধর করা হয়।
বিকাশ বিশ্বাস জানান, তাঁদের দলেরই এক যুবক সমস্যা নিয়ে কাউন্সিলরের অফিসে যান। সেখানে আসার জন্য ফোন করেন বিকাশকে। সেখানে যাওয়ার পরই তাঁর সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করেন কাউন্সিলর। চড় থাপ্পড় মারে। কাউন্সিলরের অনুগামীরাও গায়ে হাত তোলেন বলে বিকাশের দাবি। বিকাশকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় রাতেই।
বিকাশ বিশ্বাসের কথায়, “এর আগে একদিন রাত ১২টার সময় কাউন্সিলর তাঁর লোকজন নিয়ে আমার বিজনেস সেন্টারে আসেন। গালিগালাজ করেন। আমি সোমবার সন্ধ্যায় কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগের অফিসে গিয়েছিলাম। বিধাননগর কর্পোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ড। আমরা এই এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা চালাচ্ছি। ব্লিচিং দিচ্ছি। তার জন্য হুমকি ধমকিও আসছে। সন্ধ্যায় হঠাৎ করে এক বাসিন্দা বলেন পারিবারিক সমস্যা। কাউন্সিলরের অফিসে বিচার বসিয়েছে তোমরা এসো। আমরা যাই। ওনার অনুমতি নিয়েই ভিতরে ঢুকি। তারপরই আমাকে চোখ রাঙাতে শুরু করেন কাউন্সিলর। চেয়ার ছেড়ে উঠে দুমদাম মারতে থাকেন। ওনার সঙ্গে থাকা ছেলেরাও আমাকে মারে। আমি দু’বার সংজ্ঞা হারাই।”
যদিও কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগ বলেন, “গৌরাঙ্গনগরের একটি মেয়েকে কটুক্তি করছিল ছেলেটি। তখন পলাশ নামে এলাকার একটি ছেলে বলে, এখানে এসব কেন করছ? সঙ্গে সঙ্গে ওকে চড় থাপ্পড় মারতে থাকে। নোংরা কথাবার্তা বলে। আমার পার্টি অফিসের সামনে এসব হচ্ছে। আমি আবার বেরিয়ে আসি। কী হয়েছে জানতে চাওয়ায় চলে যায় সে সময়। এরপর আবার ৬-৭ জন নিয়ে ফের অফিসে আসে। তাতেই তর্কাতর্কি। পলাশ এফআইআরও করেছে।”
কলকাতা উত্তর শহরতলির বিজেপি সভাপতি অরিজিৎ বক্সীর কথায়, “এই ঘটনা সারা রাজ্যজুড়েই তো চলছে। প্রশাসন যে নৈরাজ্যের মধ্যে দিয়ে চলছে, আইনের শাসন বলে কিছু নেই তার প্রমাণ এগুলো। না হলে ভাবা যায়, একজন বিজেপি কর্মী তাঁর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের অফিসে গিয়েছেন, তার জন্য মারধর? কাউন্সিলর কোনও দল থেকে নির্বাচিত হতেই পারেন, কিন্তু তিনি তো সকলের। আসলে তৃণমূলের সংস্কৃতিতে এগুলো জানা নেই। ওরা দল, প্রশাসন সবই এক মনে করে। একটা ছেলের সমস্যা শুনে আমাদের বিকাশ যায়। নম্রভাবেই বলে বসতে পারে কি না। তারজন্য এভাবে আক্রমণ?” তবে রাত ১২টা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ জানাননি তাঁরা। দলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত নেতা।