কলকাতা: শোকজের উত্তর দিয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তবে তাতে সন্তুষ্ট নয় দল। এবার আর শোকজ নয়, একেবার সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল বিধায়ককে। গত সপ্তাহে হুমায়ুনকে শোকজ করে চিঠি দিয়েছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়। বিধায়কের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যের জেরেই তাঁকে শোকজ করা হয়েছিল। সেই চিঠির উত্তর দিলেও নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন হুমায়ুন।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি যে মন্তব্য করেছেন, তার জবাব দিতে গিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ‘ঠুসো মারব’ বলে মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। শুধু তাই নয়, মুর্শিদাবাদে ঢুকলে শুভেন্দুকে দেখে নেবেন, এমন বার্তাও শোনা যায় তাঁর মুখে। তিনি বলেছিলেন, “আমার কাছে দল পরে, জাতি আগে। আমার জাতিকে আক্রমণ করলে আমি ছেড়ে দেব না।”
দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই হুমায়ুনকে শোকজ করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাবও দিয়ে দেন বিধায়ক। তবে সংবাদমাধ্যমে তিনি বারবার দাবি করেন, তিনি দলীয় বিধায়ক হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে ওই মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, “আমি একজন মুসলিম মায়ের পেটে জন্মেছি। তখন তো তৃণমূলই ছিল না।” এদিকে, দলীয় নেতৃত্বের স্পষ্ট দাবি, বিধায়ক হিসেবে এভাবে কথা বলতে পারেন না হুমায়ুন। তাই তাঁকে এবার সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, “দলের একটা মতাদর্শ আছে। দলের সদস্য হলে নীতি-নিয়ম মানতে হবে। ব্যক্তি পরিচয়ের উর্ধ্বে ওঁর বিধায়ক পরিচয়। তাই ওঁর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম।” আগামিকাল, মঙ্গলবার হুমায়ুনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।