আততায়ী এক নয় অনেক! বেহালা খুনে ফুটপ্রিন্ট থেকে সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

Behala Murder: ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, সুস্মিতা মন্ডলের শরীরে ২০ টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ছেলে তমোঘ্নর শরীরে ৫টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আততায়ী এক নয় অনেক! বেহালা খুনে ফুটপ্রিন্ট থেকে সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
নিহত মা ও ছেলে (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2021 | 6:25 PM

কলকাতা: জোড়া খুনের (Behala Murder) ঘটনায় ক্রমশ বাড়ছে রহস্য। মা ও ছেলের খুনের ঘটনায় যদিও সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন স্বামী তপন মণ্ডল (Tapan Mondal)। তবু আততায়ী ঠিক কে, তা এখনও স্পষ্ট হচ্ছে না। আজ, বুধবার দুপুরে খুনের ঘটনার তদন্তে ঘটনাস্থলে যায় লালবাজারের গোয়েন্দারা। এরই মধ্যে সামনে আসছে এক ভয়ঙ্কর তথ্য। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আততায়ী একজন নয়, একাধিক। ফ্ল্যাটে যে ফুটপ্রিন্ট পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে অন্তত তেমনটাই প্রমাণিত হচ্ছে।

খুনের ঘটনার তদন্তের স্বার্থেই তাঁদের ফ্ল্যাট থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফুটপ্রিন্ট সংরক্ষণ করা হয়েছিল। সেই সব প্রমাণ সহ অন্যান্য পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমানের উপরে ভিত্তি করে একাধিক আততায়ীর উপস্থিতি ছিল বলেই অনুমান করছেন গোয়েন্দারা। সুস্মিতা মন্ডলের শরীরে ২০ টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ছেলে তমোঘ্নর শরীরে ৫টি আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। মৃত্যুর দু’ঘণ্টা আগে পর্যন্তও যে সবকিছু স্বাভাবিক ছিল, তার প্রমাণও মিলেছে। তাঁরা ভাত খেয়েছিলেন ঘণ্টা দুয়েক আগে। তাই আততায়ীকে কারা দরজা খুলে দিল? সেই প্রশ্ন ক্রমে জোরালো হচ্ছে।

গোয়েন্দাদের অনুমান, আততায়ী যেই হোক না কেন, সুস্মিতার অত্যন্ত পরিচিত কেউই এই কাজ করেছে। পরিচিতির সূত্র যে ছিল, এমন দাবি জোরালো হচ্ছে ক্রমশ। এ দিকে, স্বামী তপন মণ্ডলকে গতকাল রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হলেও আজ ফের লালবাজারে তলব করা হয়ছে। সেই সঙ্গে ফ্ল্যাটের এক আবাসিককেও তলব  করা হয়েছে। এ দিন ঘটনাস্থলে যান হোমিসাইড শাখার আধিকারিক সহ একাধিক পুলিশ অফিসার। তপন ও সুস্মিতার সম্পর্কে কোনও অবনতি ঘটেছিল কি না, তাঁদের মধ্যে কোনও জটিলতা ছিল কি না, সেই বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্তর কোনও জটিলতা তৈরি হয়েছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শুধু তপন মন্ডলই নয়, তাঁর ব্যাঙ্কের সহকর্মীদেরও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর ব্যাঙ্কের কর্মীরা গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অফিসের সময় তপন মন্ডল ব্যাঙ্কেই ছিলেন। পুলিশের অনুমান তিনটে থেকে পাঁচটার মধ্যে এই খুন করা হয়েছে। হিসেব মতো সেই সময় ব্যাঙ্ক কর্মীদের কথা মতো তপন মন্ডল ব্যাঙ্কেই ছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে কেন খুনের সময় অর্থাৎ ২ ঘন্টা তপন মন্ডলের ফোন বন্ধ ছিল। সিবিআর চেক করে পুলিশ দেখেছে বেশ কিছু অপরিচিত নম্বর থেকে তপন মন্ডলের ফোন এসেছে। এমনকি তপন মন্ডল যখন ফোন অন করেন, সেই সময় কিছু মিস কল অ্যালার্টও আসে অপরিচিত নম্বর থেকে। স্ত্রী সুস্মিতার সঙ্গে তপনের বেশ কয়েকদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল বলে জানা গিয়েছে। ঝামেলার কারণটা কী? সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঘুরিয়ে দিতে পারে ঘটনার মোড়! পর্ণশ্রী মার্ডার কেসে ‘কি পয়েন্ট’